ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। রাজ্যটির জিরিবাম ও বিষ্ণুপুর জেলায় ড্রোন ও রকেট হামলার পাশাপাশি গোলাগুলির ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ছয়জনের।

এরমধ্যেই রাজ্যটির ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং। আর সেই বৈঠকের পরই রাজ্যপাল এল. আচার্যের সাথে দেখা করতে ছুটে যান তিনি।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং তার রাজ্যে নতুন করে সহিংসতার নানা ঘটনার মধ্যে শনিবার রাজ্যপাল এল. আচার্যের সাথে দেখা করেছেন। সরকারি বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, সিএম সচিবালয়ে ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের মধ্যে জরুরি বৈঠকের পর বীরেন সিং রাজ্যপাল আচার্যের সাথে দেখা করতে ছুটে যান।

একটি সূত্র জানিয়েছে, বিধায়কদের বৈঠকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের সিরিজ হামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, মণিপুরের ক্ষমতাসীন জোটে বিজেপি, নাগা পিপলস ফ্রন্ট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) রয়েছে। বিজেপির নেতৃত্বে শাসক জোটের ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ২৪ জন বিধায়ক ও ৬ জন মন্ত্রী এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

রাজ্যের বেসামরিক লোকদের ওপর সশস্ত্র লোকদের সাম্প্রতিক হামলার পর এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।

দিন দুয়েক আগে মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সহিংসতা শুরুর পর শুক্রবার ঘুমের মধ্যে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং পরদিন শনিবার সকালে জিরিবাম জেলায় নতুন করে সহিংসতায় আরও ছয়জন নিহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে মণিপুরের জিরিবাম ও বিষ্ণুপুর জেলায় নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর শনিবার জিরিবামে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। জিরিবামের বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশনা দিয়েছেন, জরুরি অবস্থা চলাকালীন একসঙ্গে পাঁচজন বা তারও বেশি মানুষ জড়ো পারবেন না এবং সঙ্গে কেউ অস্ত্র বহন করতে পারবেন না।

এছাড়া অনুমতি ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মণিপুরে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। 

টিএম