ডেইজি রায়না

২০১৯ সালে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা হারানোর পর প্রথমবারের মতো বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মির। আর এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন কাশ্মিরের হিন্দু পন্ডিত সম্প্রদায়ের নারী ডেইজি রায়না।

রায়নার এই পদক্ষেপের জেরে ৩০ বছর পর এই প্রথম নারী প্রার্থী পেলো কাশ্মিরের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু পন্ডিত সম্প্রদায়। বিজেপির জোটসঙ্গী রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়া’র টিকিটে কাশ্মিরের পুলোয়ামা জেলার রাজপোরা সংসদীয় আসনের প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

জম্মু-কাশ্মিরের বিধানসভায় আসনসংখ্যা মোট ৯০টি। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। তারপর ভোট গণনা শেষে আট অক্টোবর ঘোষণা করা হবে ফলাফল।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে রায়না বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবো— এমনটা আমার কল্পনাতেও ছিল না। এখানে সারপাঞ্চ (গ্রাম প্রধান) হিসেবে কর্মরত ছিলাম; কিন্তু তরুণ-তরুণীরা আমাকে জানাল যে তারা আমাকে জম্মু-কাশ্মিরের বিধায়ক হিসেবে দেখতে চায় এবং আমার মাধ্যমে বিধানসভায় নিজেদের বক্তব্য, দাবি-দাওয়া পৌঁছাতে চায়। মূলত তাদের পীড়াপিড়ি এবং উৎসাহেই আমি প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ডেইজি রায়না একসময় দিল্লির একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুলোয়ামায় নিজের গ্রাম ফারিসালে ফিরে আসেন তিনি। কয়েক বছর আগে ফারিসালের গ্রাম পরিষদের প্রধান হন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মিরে মোট নয় জন নারী প্রার্থিতা করছেন, তাদের মধ্যে রায়নাও একজন।

“আমাদের তরুণ-তরুণীরা কোনো দোষ না করেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ১৯৯০ এবং তার পরে যাদের জন্ম, তারা পৃথিবীতে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত বুলেট-সহিংসতা ছাড়া কিছুই দেখেনি। আমি বিশ্বাস করি, েএই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন,’ এনডিটিভিকে বলেন রায়না।

সূত্র : এনডিটিভি

এসএমডব্লিউ