আরজি কর হাসপাতালে ধর্নামঞ্চের সামনে মোমবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরপর আরজি করে নির্যাতনের শিকার মৌমিতা দেবনাথের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ‘আগুনের পরশমণি’ গান গাইতে থাকেন প্রতিবাদীরা।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

নাগরিক সমাজকেও প্রতিবাদ করার আবেদন জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাদের সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হন নির্যাতিতার বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যেরা। মোমবাতি হাতে নিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগানে গলা মেলান তারা। 

নির্জাতিতার মা বলেন, আর জি কর যেমন আমার একটা মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে, তেমনি লাখ-লাখ ছেলে মেয়েকে আমার কাছে এনে দিয়েছে। আমাকে অনেক শক্ত করেছে। আমি বিচার চাই। আমার যেমন প্রতিটা দিন, প্রতিটা রাত্রি ঘুমহারা, দোষীদেরও যেন সেই অবস্থাই হয়।

এদিকে, যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট, ধর্মতলাসহ গোটা শহরেই গতরাতে চলেছে প্রতিবাদী মিছিল। বর্ধমানের কার্জন গেটে ‘রাত দখল কর্মসূচি’ পালন করেন নারীরা। রাত ৯টা থেকে ঘন্টা খানেক জিটিরোডে অবস্থান করেন তারা। উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দেন তারা। গানের মাধ্যমে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা। 

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল বের হয়েছিল ধূপগুড়িতেও। মিছিলে অংশ নেন ৮ থেকে ৮০ সবাই। মিছিল গোটা শহর প্রদক্ষিণ করে। ধূপগুড়ি বাসস্ট্যান্ড চৌপতি এলাকায় নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে মোমবাতি হাতে প্রতিবাদ জানানো হয়। রায়গঞ্জের দেহশ্রী মোড়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদের শামিল হন সাধারণ মানুষ।

গত ১৪ অগাস্ট আরজি করের ঘটনা নিয়ে পুরো পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলনে গর্জে ওঠে। আরজি করের নিহত চিকিৎসকের খুনের বিচার চেয়ে রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ। কারও হাতে মোমবাতি, কারো হাতে মশাল, মুখে স্লোগান। কোথাও বা অনুষ্ঠিত হয়েছিল পথ-নাটিকা, কোথাও বা রাস্তাজুড়ে আঁকা হয়েছিল গ্রাফিতি। 

প্রসঙ্গত, গত আগস্টের শুরুর দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৩৮ বছরের পুরোনো আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনাকে ঘিরে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

কেএ