গ্রিসে তীব্র খরায় জেগে উঠল ডুবন্ত গ্রাম
রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা এবং খরার পর গ্রিসের এথেন্সে একটি ডুবন্ত গ্রাম জেগে উঠেছে। ১৯৭০ সালে মর্নোর বাঁধ তৈরির পর কালিও নামের গ্রামটি পানির নিচে চলে যায়। বাঁধের মাধ্যমে সেখানে তৈরি করা হয় কৃত্রিম খাল। এই খালের পানির নিচেই রয়েছে কালিও গ্রামটি।
সাম্প্রতিক খরার কারণে খালটির পানি ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এরপরই ওই গ্রামটির একটি স্কুল এবং কয়েকটি বাড়ি ভেসে উঠে।
বিজ্ঞাপন
ইয়োরগোস লোসিফিডিস নামের ৬০ বছর বয়সী একটি ব্যক্তি বলেছেন, “খালের পানি ১৩১ ফুট কমে গেছে।” ইয়োরগোস যখন যুবক ছিলেন তখন তাকে এই গ্রামটি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। নিজ বাড়ি ছেড়ে তারা একটি উঁচু এলাকায় চলে গিয়েছিলেন।
ইয়োরগোস বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “আমার শশুরের দোতলা বাড়ির প্রথম ফ্লোরটি দেখা যাচ্ছে। এর পাশে দেখা যাচ্ছে আমার চাচাত ভাইয়ের বাড়ি।”
কালিও গ্রামের চেয়ারম্যান অ্যাপোসতোলিস গেরোদিমোস বার্তাসংস্থা এএনএকে বলেছেন, অ্যাথেন্সে পানি সরবরাহের জন্য চার্চ-স্কুলসহ ৮০টি বাড়িকে ‘বলিদান’ দিতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন
এর আগে ১৯৯০ সালের খরার পরও কালিও গ্রামের কিছু অংশ জেগে উঠেছিল। এ বছরের খরার পর আবারও সেই এখই ঘটনা ঘটল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে পানির স্তর আরও নামতে থাকবে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। খরার কারণে এখন সবাইকে সতর্কতা নিয়ে পানি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
এদিকে ভূমধ্যসাগরের পাশে অবস্থিত দেশগুলোতে দেখা দিয়েছে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ খরা। গত জুলাই মাসে গ্রিসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে জুনেও দেশটিতে ভয়াবহ তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়েছিল।
সূত্র: এএফপি
এমটিআই