দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর একটি বিমান জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিমানটি ফ্যালকন ৯০০ইএক্স মডেলের এবং ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে যুক্তরাষ্ট্র এটি জব্দ করে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর একটি বিমান জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি দাবি করেছে, বিমানটি ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে অবৈধভাবে কেনা হয়েছিল এবং পরে সেটি দেশ থেকে পাচার করা হয়।

মার্কিন বিচার বিভাগ অনুসারে, ফ্যালকন ৯০০ইএক্স মডেলের এই বিমানটি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে জব্দ করা হয়ে এবং পরে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অবশ্য কীভাবে এবং কখন বিমানটি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্র্যাকিং ডেটায়ে দেখা গেছে, সোমবার রাজধানী সান্টো ডোমিঙ্গোর কাছে লা ইসাবেলা বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে বিমানটি ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।

ভেনেজুয়েলা এই জব্দের নিন্দা করেছে এবং বলেছে, এটি ‘‘জলদস্যুতার’’ কাজ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘বিশ্বজুড়ে একতরফাভাবে এবং অবৈধভাবে চাপিয়ে দেওয়া জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে’ নিজের কাজের ন্যায্যতা দিয়েছে।

একটি বিবৃতিতে ভেনেজুয়েলা সরকার বলেছে, তারা ‘জাতির এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যেকোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে’।

অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে বিমানটি আটক করা হয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, মাদুরোর সাথে সংশ্লিষ্ট লোকেরা ২০২২ সালের শেষের দিকে এবং ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ফ্লোরিডাভিত্তিক একটি কোম্পানির কাছ থেকে বিমানের বেআইনি ক্রয়ের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা আড়াল করার জন্য ক্যারিবিয়ানভিত্তিক শেল কোম্পানি ব্যবহার করেছিল।

এরপর বিমানটি ২০২৩ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্যারিবিয়ান হয়ে ভেনেজুয়েলায় অবৈধভাবে রপ্তানি করা হয়।

মার্কিন কর্মকর্তাদের যুক্তি, বিমানটির বিক্রয় এবং রপ্তানি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট মাদুরো বারবারই তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে এসেছেন।

টিএম