ফিলিস্তিনের গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আজ রোববার রাফাহ ক্রসিংয়ের সুড়ঙ্গের ভেতর তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলি এসব জিম্মিকে কয়েকদিন আগেই হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ছয় জিম্মির মরদেহ পাওয়ার পর দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সাধারণ ইসরায়েলিরা। জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সংগঠন সকালে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন। তারা বলেন, নেতানিয়াহু যদি হামাসের সঙ্গে চুক্তি করতেন তাহলে এই ছয়জনকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যেত। কারণ তারা কয়েকদিন আগেও জীবিত ছিলেন।

ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নেতানিয়াহু ও তার মৃত মন্ত্রীপরিষদের কারণে জিম্মিরা জীবিত ফিরতে পারেননি।

ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর চাপে পড়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেছেন, গত ডিসেম্বর থেকেই হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু হামাস রাজি হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, গত ১৬ আগস্টও যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু হামাস এতে রাজি হয়নি।

নেতানিয়াহু বলেছেন, “যারা জিম্মিদের হত্যা করে তারাই যুদ্ধবিরতি চায় না।” তবে তা সত্ত্বেও হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন যুদ্ধাপরাধের অপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই