সেনাবাহিনীর চলমা অভিযানে পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে একদিনে নিহত হয়েছে ১৭ জন সন্ত্রাসী। শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৮ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট খাইবার পাখতুনখোয়ার তিরাহ উপত্যকা এবং বেলুচিস্তানের কেচ, পাঞ্জগুর এবং ঝোব জেলায় অভিযান চালিয়েছে সেনা বাহিনী। সেই অভিযানে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১২ জন এবং বেলুচিস্তানে ৫ জন নিহত হয়েছেন।

খাইবার পাখতুনখোয়ায় যে ১২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, তারা সবাই ফিতনা আল খারিজি নামের একটি গোষ্ঠীর সদস্য। এই গোষ্ঠীটি পাকিস্তানি তালেবান গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান ই পাকিস্তানের (টিটিপি) একটি শাখা।

বস্তুত, টিটিপিকে দমন করতে গত ২০ আগস্ট থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ায় অভিযান শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। আইএসপিআরের বিবৃতি অনুসারে, ২০ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত অভিযানে নিহত হয়েছেন মোট ৩৭ জন সন্ত্রাসী এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।

এদিকে, গত ২৬ আগস্ট বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলার চালিয়ে ২৩ জনকে হত্যার পর ২৯ আগস্ট থেকে বেলুচিস্তানের কেচ, পাঞ্জগুর এবং ঝোব— তিন জেলায় অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। চলমান সেই অভিযানে গত ২৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএসপিআরের বিবৃতিতে।

২০২১ সালে তালেবানগোষ্ঠী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার উল্লম্ফণ ঘটেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর থিঙ্কট্যাংক সংস্থা পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের তথ্য অনুসারে, গত বছর বেলুচিস্তানে মোট ১৭১টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫১ জন বেসামরিক এবং ১১৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।