গাজা উপত্যকার শিশুদের পোলিও টিকা প্রদান কর্মসূচির স্বার্থে ৩ দিন মোট ৯ ঘণ্টা করে বিরতিতে সম্মত হয়েছে সেখানে যুদ্ধরত দুই পক্ষ হামাস এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আগামী রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত গাজায় সংঘাতে জড়াবে না দু’পক্ষ।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ফিলিস্তিন অঞ্চল বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন। হামাস এবং আইডিএফও একই দিন পৃথক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

পোলিও থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মোট ৪ ডোজ টিকা খাওয়ানো জরুরি। প্রথম ডোজ দিতে হয়ে এক থেকে ২ মাসের মধ্যে এবং শেষ ডোজটি দিতে হয় ৪ থেকে ৬ বছর বয়সে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এই মুহূর্তে গাজায় পোলিও টিকা প্রদানের জন্য উপযুক্ত শিশুদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজারের বেশি।

বছরের পর বছর ধরে জাতিসংঘের শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএইচও’র যৌথ উদ্যোগে গাজায় টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না বলে জানিয়েছেন রিক পিপারকর্ন।

হামাসের অন্যতম মুখপাত্র বাসেম নাঈম রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “ফিলিস্তিনি শিশুদের পোলিও থেকে সুরক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত করছে, তাতে সহযোগিতা করতে এবং এগিয়ে নিতে হামাস প্রস্তুত।”

পৃথক এক বিবৃতিতে আইডিএফের মানবিক সহায়তা ইউনিট (কোগাট) জানিয়েছে, “পোলিও টিকাদান কর্মসূচির জন্য আগামী তিন দিন গাজায় ভোর ৬ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অভিযান বন্ধ থাকবে। এটা রুটিন মানবিক বিরতির অংশ।”

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রিক পিপারকর্ন জানান, এবারের কর্মসূচিতে গাজার অন্তত ৯০ শতাংশ শিশুকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ