ভারতের গুজরাটে ভারী বৃষ্টিপাতের পর ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গত দুইদিন ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে ভাদোদরাসহ অন্যান্য শহর ও গ্রাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কিছু কিছু এলাকা ১০ থেকে ১২ ফুট পানির নিচে রয়েছে।

গুজরাটে ভয়াবহ এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে নিচু এলাকা থেকে ৬ হাজার ৪৪০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এক অসহায় নারী জানিয়েছেন গত দুইদিন ধরে অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে, তারা খাদ্য সংকটে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা বাইরে যেতে পারছি না, ঠিকমতো খাইনি। কেউ আমাদের ত্রাণ দিতে আসেনি। আমার বাবা হাঁটতে পারেন না। তিনিও কিছু খাননি। আমরা সারারাত এখানে বসে থাকছি। ঘুমাতে পারছি না।”

তেজাল নামের আরেক নারী জানিয়েছেন তারাও সবাই না খেয়ে আছেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেছেন, “আমরা সারারাত এখানে বসা। আমরা কিছু খাইনি। আমার তিনটি ছোট বাচ্চা রয়েছে। তাদেরকে আমি আমার মায়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানেও খাবার নেই। আমরা কি করব। মা হিসেবে আমি খুবই ব্যথিত।”

স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০ বছর আগে ভাদোদরাহতে এমন বন্যা দেখা দিয়েছিল। এ বছর আবার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

টানা বৃষ্টির পর মঙ্গলকার সকালে বিশ্বমিত্রী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপরে উঠে যায়। এছাড়া স্থানীয় আজওয়া বাঁধ খুলে দেওয়ার পর সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালাতে সেখানে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই