ব্যাপক বিধ্বংসী ও বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন চালকবিহীন যুদ্ধবিমান ‘সুইসাইড ড্রোন’ তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এই ড্রোন উদ্বোধন করেছেন।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা কেসিএনএ আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নতুন এই ড্রোন ট্যাংকসহ যে কোনো ভারী যুদ্ধযান ধ্বংস করা এবং প্রচলিত ড্রোন সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।

কেসিএনএ জানিয়েছে, শনিবার উত্তর কোরিয়ার অ্যাকাডেমি অব ডিফেন্স সায়েন্সের ড্রোন ইনস্টিটিট ভবনে ‘সুইসাইড ড্রোন’ উদ্বোধন করেন কিম জং উন। ড্রোনটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন কিম।

সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা বলেন, নতুন এই ড্রোন দেশের সেনাবাহিনীর ট্যাকটিক্যাল ইনফ্যান্ট্রি এবং বিশেষ অপারেশন ইউনিটের জন্য বেশ উপকারী হবে। পানির নিচে চলতে সক্ষম সুইসাইড ড্রোন বানানোর জন্যও উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন তিনি।

এই সুইসাইড ড্রোনের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে কেসিএনএ। সেসব ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে, বিভিন্ন পাল্লার প্রায় চার ধরনের সুইসাইড ড্রোন প্রস্তুত করেছে উত্তর কোরিয়া। একপ্রকার ড্রোন দেখা গেছে, যেগুলো উৎক্ষেপণের জন্য ছোটো আকারের রকেটের প্রয়োজন হয়।

এদিকে, সুইসাইড ড্রোন নিজেদের প্রযুক্তিতে তৈরি বলে উত্তর কোরিয়া দাবি করলেও প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষ্য— এই যুদ্ধাস্ত্র তৈরিতে উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা করেছে রাশিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়া সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ স্তর জয়েন্ট স্টিফস অব স্টাফসের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা উত্তর কোরিয়ার সামরিক প্রযুক্তিগত সক্ষমতা জানি। নতুন যে ড্রোনটি নিজেদের প্রযুক্তিতে প্রস্তুত বলে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, সেটি সঠিক নয় বলেই মনে হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, রাশিয়া এক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করেছে।”

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ