ইসরায়েলের বিমান হামলার পর লেবাননের একটি গ্রাম থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।

দখলদার ইসরায়েলে রোববার মধ্যরাতে তিনশরও বেশি রকেট ছুড়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এই হামলাকে ‘ইসরায়েলের মুখে চপেটাঘাত’ হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনের হামাস। এছাড়া হামলাকে ‘শক্তিশালী এবং সঠিক’ হিসেবেও উল্লেখ করেছে তারা।

বিবৃতিতে হামাস বলেছে, “এই শক্তিশালী এবং সঠিক হামলাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যা ইহুদিবাদীদের ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত হেনেছে। এটি ইসরায়েলি সরকারের মুখে একটি চপেটাঘাত।”

দখলদার ইসরায়েল দাবি করেছে, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা তাদের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় ১০০টি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে কয়েক হাজার রকেট লঞ্চার ধ্বংস করে এই হামলা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩২০টিরও বেশি কাতিউসা রকেট ছুড়ে হিজবুল্লাহ।

সশস্ত্র এ গোষ্ঠী জানিয়েছে, আজকের মতো তাদের হামলা শেষ হয়েছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পরবর্তীতে আরও হামলা চালানো হবে। যদিও পরবর্তী হামলা কবে হবে সেটি স্পষ্ট করেনি তারা।

রোববার সকালে ইসরায়েলের চালানো হামলায় লেবাননে তিনজন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলে কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে তারা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ চান না। তবে যদি যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে সেজন্য তারা প্রস্তুত আছেন।

গত ৩১ জুলাই ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ সুখর। ওইদিন লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিনি। তখনই তার উপর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েল।

ফুয়াদ সুখরকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই রোববার মধ্যরাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ে হিজবুল্লাহ।

এমটিআই