ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে সেখানকার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)। শনিবার পিডিপির নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের পর কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) জোটের তীব্র সমালোচনা করেছেন মেহবুবা। তবে নির্বাচনী ইশতেহারে একগুচ্ছ সেবার কথা তুলে ধরেছেন তিনি; যেখানে নাগরিকদের বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পিডিপি।

ইশেতেহারে বলা হয়েছে, পিডিপি ফের ক্ষমতায় ফিরলে মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বারে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ইশতেহার প্রকাশ করে বিরোধী জোট ইনডিয়ার দুই শরিক কংগ্রেস ও ফারুক আবদুল্লার দল এনসির তীব্র সমালোচনা করেন মেহবুবা।

তিনি বলেন, কংগ্রেস ও এনসি নির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্যকে সামনে রেখে জোট করেনি, জোট করেছে আসন বোঝাপড়ার ভিত্তিতে। পিডিপি যে এনসি ও কংগ্রেসের জোটে যোগ দেবে না, সে কথা স্পষ্ট করে মেহবুবা বলেন, আমাদের লক্ষ্য পরিষ্কার। আর তা হল জম্মু ও কাশ্মির সমস্যার সমাধান করা।

আগামী ১৮ ও ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর—তিন দফায় জম্মু ও কাশ্মিরের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে কংগ্রেস ও এনসির মধ্যে জোট চূড়ান্ত হয়েছে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনের মতোই এই জোটে নেই ইনডিয়ার শরিক দল পিডিপি।

শনিবার প্রকাশিত পিডিপির ইশতেহারে বলা হয়েছে, দল ক্ষমতায় ফিরলে পাক অধিকৃত কাশ্মিরের হিন্দু তীর্থস্থান শারদাপীঠে যাওয়ার রাস্তা পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মির হয়ে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেহবুবা।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ২০১৯ সালে দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার পর ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। পিডিপির ইশতেহারে বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ও পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা চালু করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েছিল পিডিপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মেহবুবার বাবা মুফতি মোহাম্মদ সাইদ। ২০১৬ সালে মুফতির মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী হন মেয়ে মেহবুবা।

পরে ২০১৮ সালের জুন মাসে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে বিজেপি। ওই বছরের নভেম্বরে বিধানসভা ভেঙে দেন কাশ্মিরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। এরপর দীর্ঘ ছয় বছর জম্মু ও কাশ্মিরে নির্বাচিত কোনও সরকার নেই।

এসএস