বাংলাদেশ যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত চায় তাহলে তাকে ফেরত দেওয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সাংবাদিক হিরন্ময় কার্লেকার। তার মতে, এতে করে ভারতীয় অনুগতদের কাছে বার্তা যাবে যে তারা দুঃসময়ে ভারতের উপর নির্ভর করতে পারবেন না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য পাইওনিয়ারের পরামর্শক সম্পাদক হিরন্ময় কার্লেকার এক কলামে লিখেছেন, “হাসিনাকে যদি ফেরত দেওয়া হয় তাহলে ভারতের সবচেয়ে অনুগতদের কাছে বার্তা যাবে যে তারা খারাপ সময়েও ভারতের উপর নির্ভর করতে পারবে না। যা নয়াদিল্লি কখনোই চাইবে না।”

“ভারতকে হাসিনার মতো একজন মিত্রকে হস্তান্তর না করার অবস্থানে অনড় থাকতে হবে। বিশেষ করে যখন (কথিত) ভারত বিরোধী শক্তির কাছে থেকে এমন দাবি আসে।”

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কয়েকদিন আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। যেন তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়। তবে ফখরুলের এ দাবি না মানার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় এই সাংবাদিক।

কলামে তিনি লিখেছেন, “ভারতীয় মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী মির্জা ফখরুল দুটি কারণে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন। এগুলো হাস্যকর। প্রশ্ন হলো তিনি কী বাংলাদেশে এখন ন্যায়বিচার পাবেন? যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য হয় এবং তিনি খুবই খারাপ কাজ করে থাকেন; তা সত্ত্বেও তার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তোপের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ওইদিনই তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আশ্রয় নেন।

শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর আগে বাংলাদেশে ঘটে যায় ইতিহাসের অন্যতম বড় হত্যাকাণ্ড। প্রাণ হারান প্রায় এক হাজার মানুষ। এছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আরও কয়েক হাজার। যেদিন শেখ হাসিনা পালান সেদিন সকালেও নিরাপত্তাবাহিনীকে আরও কঠোর হয়ে হত্যাকাণ্ড চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার বিচার করতে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ।

এমটিআই