নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নিয়ে প্রশ্ন করায় এক সাংবাদিককে চড়-ঘুষি মেরেছেন থাইল্যান্ডের সাবেক সেনাপ্রধান ও রাজনীতিবিদ প্রবিত ওংসুওন।

শুক্রবারের এ ঘটনার পর আনুষ্ঠানিক একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই সাংবাদিক। অভিযোগের পর থাইল্যান্ডের সংসদ জানিয়েছে তারা ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত করবে।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ৭৯ বছর বয়সী সাবেক সেনাপ্রধান হেঁটে আসছেন। ওই সময় হাসতে হাসতে নারী সাংবাদিক দংতিপ ইয়াম্পোপ তাকে প্রশ্ন করছিলেন। তখন রেগে গিয়ে সবার সামনে তিনি তাকে চড় ও ঘুষি মারেন। এরপর নিজের গাড়িতে উঠে সেখান থেকে চলে যান তিনি।

প্রবিত ওংসুওন ২০০০ সালের দিকে থাইল্যান্ডের সেনাপ্রধান হন। ২০১৪ সালে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। এই অভ্যুত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন প্রবিত ওংসুওন। এরপর ওই বছর সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হওয়ার পর এই রাজনীতিবিদের দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি সাংবাদিককে ভালোভাবে চেনেন। আর তিনি তার সঙ্গে মজা করছিলেন এবং তার কোনো খারাপ চিন্তাভাবনা ছিল না।

তবে তা সত্ত্বেও এ ঘটনা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ডের সংসদ।

থাইল্যান্ডের সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনও নারী সাংবাদিকক চড়-ঘুষি মারার নিন্দা জানিয়েছে। তারা এ ঘটনাকে বাকস্বাধীনতার জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছে।

এমটিআই