হাইতির সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে বিপজ্জনক মাদক চোরাচালানের দায়ে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল মার্টেলির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। মঙ্গলবার হাইতির সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাবেক সংগীতশিল্পী মার্টেলি ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মাঝে ক্যারিবীয় রাষ্ট্র হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে কোকেন-সহ বিপজ্জনক মাদক পাচারের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি স্থানীয় মাদক পাচারকারীদের সাথে কাজ করেছিলেন এবং হাইতি-ভিত্তিক একাধিক গ্যাংকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। অবৈধ মাদকের চোরাচালান থেকে পাওয়া অর্থ পাচারের সাথেও জড়িত ছিলেন মার্টেলি।
মঙ্গলবার হাইতির সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ কানাডার সরকারের সাথে মিল রেখে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। এর আগে ২০২২ সালে হাইতির সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্টেলি ও অন্য দুটি দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কানাডা। সেই সময় সশস্ত্র বিভিন্ন গ্যাংয়ের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কানাডার সরকার।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দরিদ্রতম দেশ হাইতিতে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাং সহিংসতা চলে আসছে। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সংঘবদ্ধ বিভিন্ন গ্যাংয়ের সংঘাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই সময় দেশটির সশস্ত্র বিভিন্ন গ্যাং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।
হাইতির অপরাধী গোষ্ঠীগুলো রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ করে। সেখানকার বাসিন্দারা বলেছেন, এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা প্রায়ই মুক্তিপণের জন্য হত্যা, ধর্ষণ এবং অপহরণের হুমকি দিয়ে থাকে।
রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হাইতিতে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন রেখেছে কেনিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দাবিষয়ক ট্রেজারি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ব্রাডলি স্মিথ বলেছেন, আজকের এই পদক্ষেপ হাইতিতে চলমান সংকটকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য মার্টেলি ও অন্যান্য দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক অভিজাতরা যে গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্থিতিশীল ভূমিকা পালন করেছেন তার ওপর জোর দেয়।
সূত্র: এএফপি।
এসএস