আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোর প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট খরায় ভুগছেন। এর ফলে ওই অঞ্চলজুড়ে ফসলের আবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শনিবার আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ১৬ দেশের আঞ্চলিক জোট সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটির (এসএডিসি) বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি বছরের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া এই খরায় এসএডিসির দেশগুলোতে ফসলের আবাদ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি গবাদিপশুর প্রজননও ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলে খাদ্য ঘাটতি ও অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

এসএডিসির সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা শনিবার জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারেরে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তাসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। 

এসএডিসির নির্বাহী সম্পাদক ইলিয়াস মাগোসি বলেছেন, বর্তমানে এসএডিসিভুক্ত দেশগুলোর প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের কিংবা এই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৭ শতাংশের সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, চলতি বছরের বর্ষা মৌসুম অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। বৃষ্টিপাত দেরীতে শুরু হওয়ায় এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়ার নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ।

গত কয়েক বছরের মধ্যে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে চলতি বছর। পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে পানির অস্বাভাবিক উষ্ণতা ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক আবহাওয়ার এই ধরনে পরিবর্তন ঘটেছে।

এসএডিসির সদস্য রাষ্ট্র জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া এবং মালাবিসহ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে খাদ্য সংকটকে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া লেসোথো ও নামিবিয়া মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।

অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট এসএডিসির বিদায়ী চেয়ারম্যান জোয়াও লরেঙ্কো বলেছেন, এই অঞ্চলে খরার প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য গত মে মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিল এসএডিসি। কিন্তু অনুদান পাওয়া যায়নি।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস