হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি বন্দিরা চুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে করছেন।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে আজও আলোচনা হয়েছে। তবে এই আলোচনা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায় মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা। এরপর শুক্রবার আবারও তাদের মধ্যে বৈঠক হয়।

এরপর মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তির নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। যেটি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে থাকা (বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনৈক্য) দূরত্ব ঘোচাবে।

দেশগুলো আরও জানিয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহে আবারও বৈঠকে বসবে। যেখানে চুক্তিটির চূড়ান্ত কাজ চলবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা গত ৪৮ ঘণ্টায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিরিয়াস এবং গঠনমূলক আলোচনা করেছে। যার মাধ্যমে চুক্তি হওয়া সম্ভব।

তবে হামাস জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সবার মধ্যে একটি ‘মিথ্যা ইতিবাচক’ একটি পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তারা আসলে যুদ্ধবিরতি চায় না। যুক্তরাষ্ট্র চায় গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকুক।

গত ১০ মাস ধরে গাজায় বর্বরতা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এতে তাদের সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ জানিয়েছেন, তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তির দ্বারপ্রান্তে আছেন। যদিও এর আগেও তিনি এমন কথা বলেছিলেন। কিন্তু দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কারণে এখনো চুক্তিটি হয়নি। এবারও চুক্তি হবে কিনা এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

কাতারের রাজধানী দোহায় যখন আলোচনা চলছিল তখনো গাজায় হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছিল ইসরায়েলি সেনারা। আজও তারা নতুন দুটি জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যেতে বলেছে।

এমটিআই