ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে এবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হলো। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাকে তলব করা হয়েছে।

অন্যদিকে, আরজি কর মেডিকেল কলেজে গত বুধবার রাতে ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে মোট করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবারের হামলার ঘটনায় মোট তিনটি মামলা করছে পুলিশ।

আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে গতকাল বৃহস্পতিবার তলব করা হয় হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী এবং প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে। পাশাপাশি, হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের এক নারী অধ্যাপকও বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সিজিওতে যান। 

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তারা কে কী জানেন, কীভাবে এই ঘটনার খবর পেলেন, ঘটনার দিন কে কোথায় ছিলেন? এইসব নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিবিআই দপ্তরে পৌঁছান টালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)। তদন্তের কিছু নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দিতেই তিনি গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

আরজি করকাণ্ডে আটক সঞ্জয় রায়কে ইতোমধ্যে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরপরেই বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের তিনজনকে ডেকে পাঠানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরেই এবার আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকেও ডেকে পাঠানো হলো।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার তদন্ত ভার পায় সিবিআই। কলকাতা পুলিশের তদন্তে অসন্তুষ্ট হয়ে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তের শুরু থেকেই তৎপর ছিল সিবিআই। কলকাতা পুলিশের থেকে এই মামলার নথিপত্র সংগ্রহ করেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

কেএ