পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দোষীদের কঠোরতম সাজা চেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এই উপলক্ষ্যে আজ রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা ময়দানে ভাষণ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভাষণে তিনি বলেন, “আমাদের মা-বোনদের লক্ষ্য করে যেভাবে প্রতিদিন নিষ্ঠুরতা বাড়ছে, তাতে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। আমি তাদের এই ক্ষোভ প্রত্যাশা করতে পারি। আমাদের দেশের, সমাজের এবং সব রাজ্য সরকারের উচিত এই ইস্যুটিকে গুরুত্বসহকারে নেওয়া। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সংক্রান্ত যে কোনো অপরাধের তদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং বিকৃত মস্তিষ্কের এসব অপরাধীদের কঠোরতম সাজা দিতে হবে। সমাজে বিশ্বাস সৃষ্টির জন্য এ ইস্যুতে আমাদের কঠোর হওয়া জরুরি।”

গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।

তবে দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; তবে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, ওই চিকিৎসক দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেনে।

ধর্ষকদের শনাক্ত গ্রেপ্তার ও কঠোর সাজার দাবিতে গতকাল বুধবার সারারাত সড়কে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। এই কর্মসূচির মধ্যেই ভোরবেলায় আর জি কর হাসপাতালে হামলা ঘটে, ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ।

এই ভাঙচুরের সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি।

সূত্র : এনডিটিভি

এসএমডব্লিউ