ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করলে এই মুহূর্তে ইসরায়েলে সরাসরি কোনো হামলা চালাবে না ইরান। দেশটির তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৩১ জুলাই ইরানে গুপ্ত হামলার শিকার হন হামাসের সাবেক প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া। এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে দখলদার ইসরায়েলে সরাসরি হামলার হুমকি দেয় ইরান। যদিও তারা এখনো হামলা চালায়নি। এরমধ্যেই ইরান জানাল, ইসরায়েল যদি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় তাহলে তারা আপাতত হামলা চালাবে না।

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছেন, যদি গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হয়, যদি মনে হয় ইসরায়েল আলোচনায় গড়িমসি করছে তাহলে ইরান ও হিজবুল্লাহ একসঙ্গে ইসরায়েলে হামলা চালাবে। তবে ইরান ইসরায়েলকে এজন্য কতদিন সময় দেবে সেটি স্পষ্ট করেনি সূত্রটি।

ইরান যেন ইসরায়েলে কোনো হামলা না চালায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো চেষ্টা চালাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা আশঙ্কা করছেন ইরান এক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাবে।

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে ইসরায়েলকে মূলত এখন একটি সুযোগ দিয়েছে ইরান। এই সুযোগ শেষ হলে ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানতে পারে দেশটি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ মানুষ।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই