বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন তার সরকারের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহব্যাপী প্রাণঘাতী বিক্ষোভের পর গত ৫ আগস্ট সামরিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে পালিয়ে যান, তখন তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা নিয়ে মানুষের সন্দেহ ছিল বেশ সামান্যই।

ভারত বরাবরই হাসিনাকে সমর্থন করেছে এবং ১৯৭৫ সালে তার প্রায় পুরো পরিবারকে হত্যার পর বহু বছর তিনি সেখানেই নির্বাসনে কাটিয়েছেন।

একইদিন হাসিনা যখন নয়াদিল্লির কাছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে অবতরণ করেন, তখন তাকে সেখানে অন্য কেউ নয়, স্বাগত জানান অজিত ডোভাল। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার এই প্রধান দেশটির বিতর্কিত গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর তত্ত্বাবধানও করেন। আর এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে।

ছাত্র-জনতার কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে প্রায় ৩০০ জন নিহত হওয়ার পর হাসিনা পদত্যাগ করেন। স্থানীয় ভারতীয় মিডিয়া অনুসারে, তিনি পশ্চিমা দেশগুলোতে আশ্রয় চাইছেন এবং সম্ভবত ‘কিছুটা’ সময় ভারতে থাকবেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে রয়েছে।

হাসিনার পদত্যাগকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের হিমশিম খাওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ভারতীয় হাইকমিশনের অ-প্রয়োজনীয় কর্মীদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ভারতের জন্য বড় ধাক্কা

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক নানা ঘটনাপ্রবাহ যা হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির দিকে নিয়ে গেছে তা ভারতের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মূলত হাসিনার অধীনে ঢাকার সাথে দৃঢ় কূটনৈতিক এবং বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে ভারত।

এছাড়া হাসিনা ভারতের একজন মূল্যবান মিত্র ছিলেন যিনি ১৯৪৭ সালের ভারত ও পাকিস্তান বিভক্তির মাধ্যমে তৈরি হওয়া নিরাপত্তা, লজিস্টিক এবং রাজনৈতিক দুঃস্বপ্নকে — কিছুটা হলেও — পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছিলেন।

দেশভাগের পর ভারতের পূর্বদিকে ছিল পূর্ব পাকিস্তান, পরে হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম হয়। ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশের জন্মের পর নতুন এই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র এবং পাকিস্তানের মতো একটি ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে যায়।

ভারত সবসময় পাকিস্তানের মূল্যবোধের দিকে যেকোনও পরিবর্তনকে বরাবরই হুমকি হিসেবে দেখে এসেছে।

১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে জাতীয় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় ভারত। সেসময় দেশটির বাম দিকে ছিল একজন জিয়া এবং অন্য একজন জিয়া ছিলেন ডানদিকে — মানে জেনারেল জিয়া-উল-হকের অধীনে পাকিস্তান এবং জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ।

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ১৯৮১ সালে তিনি নিহত হন। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৬ সাল পর্যন্ত কয়েক দফায় দেশ শাসন করেন। তবে ২০০৯ সালে হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে এবং এটি ভারতের জন্য ছিল অনেক স্বস্তির, কারণ হাসিনা ও তার দল ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে।

এরপর গত ১৫ বছরে হাসিনা ঢাকার সাথে কলকাতা এবং ভারতের আগরতলার সাথে সংযোগকারী রাস্তাগুলো পুনঃনির্মাণ করেন যেগুলো ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তিনি ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর উপনদীতে মালবাহী জাহাজের সহজে প্রবেশের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ব্রিজ নির্মাণ, রেলপথ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে কর্মকাণ্ড আরও সহজ করে তোলেন।

এই সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হাসিনা সীমান্তের ওপার থেকে আসা বিদ্রোহীদের নিরাপদ আশ্রয় দিতে অস্বীকার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বিদ্রোহ দমন করতে ভারতকে সাহায্য করেছেন।

প্রতিবেশীদের মধ্যে নৈকট্য

যদিও একই সময়ে চীনের সাথেও হাসিনার চমৎকার সম্পর্ক ছিল, তবুও তিনি ভারতকে বোঝাতে পেরেছিলেন যে— তার স্বার্থ সবার আগে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, তিনি সম্প্রতি বলেছিলেন— ১ বিলিয়ন ডলারের নদী উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য চীনের চেয়ে তিনি ভারতকে পছন্দ করছেন।

যাইহোক, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ককে বেশ দৃঢ় করেছিল একটি চুক্তি। আর সেটি হচ্ছে হাসিনার সরকার এবং বিদ্যুৎ খাতে ভারতীয় আদানি গ্রুপের মধ্যে একটি চুক্তি। ওই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ ভারতের ঝাড়খন্ডে ১.৭ বিলিয়ন ডলারের একটি প্ল্যান্ট থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ পাবে।

কিন্তু বিতর্কিত এই চুক্তিটি বিরোধীদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছিল, কারণ এর শুল্ক প্রদানের হার ছিল অত্যন্ত বেশি। তদুপরি চুক্তিটি নিয়ে আরও অস্বস্তি ছিল, কারণ আদানির সাথে যে কোনও চুক্তি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুগ্রহ অর্জনে সহায়ক বলে মনে করা হয়ে থাকে।

ব্রাসেলসের ভ্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা ফেলো সাইমুম পারভেজ ২০২৩ সালে আল জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘আদানির সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা আওয়ামী লীগের কাছে গোপন ছিল না এবং তাদের জানা ছিল— আদানির সঙ্গে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি শেষ পর্যন্ত মোদির কাছ থেকে (আওয়ামী লীগের) সরকারকে রাজনৈতিক সুবিধা দেবে।’

ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার মিত্র

ভারত ঢাকায় তার মূল্যবান মিত্র হাসিনা এবং তার সরকারকে সুরক্ষিত রাখার গুরুত্ব বিভিন্ন সময় স্বীকার করেছে। গত জানুয়ারিতে হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে।

যদিও হাসিনা ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছেন, বিরোধী সদস্যদের গ্রেপ্তার ও হামলা-মামলার লক্ষ্যবস্তু করেছেন এবং ভিন্নমত ও বাক-স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে দমন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পর্যবেক্ষক দেশ ও গোষ্ঠী বলেছে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় ওই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না।

বিতর্কিত ভোটে হাসিনা যখন পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হন, তখন রাশিয়া এবং চীনের সাথে ভারতও তাকে তার বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানায়।

সরকারি চাকরিতে বৈষম্যপূর্ণ কোটার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্রদের বিক্ষোভ যখন হিংসাত্মক হয়ে ওঠে এবং হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে তখন কর্তৃপক্ষ কঠোর ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চালায়।

ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই সাংবাদিককে বলেছেন, ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ভেবেছিল— হাসিনা এবং সেনাবাহিনীর ওপর তার নিয়ন্ত্রণই হয়তো নিশ্চিত করবে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে না।

যদিও এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যখন ভারত বিরোধীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল যাতে হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে নয়াদিল্লিকে যেন অবহেলা বা দূরে ঠেলে দেওয়া না হয়। তবে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা বলছে, হাসিনা কোনো ভারতীয় হাইকমিশনারকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে দেননি। হাসিনা শুধু তার বন্ধুদেরই নয়, তারা যাদের সাথে কথা বলত তাদেরও উদ্যোগী হয়ে পাহারা দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

টার্নিং পয়েন্ট

কূটনৈতিক সম্প্রদায়সহ নিরাপত্তা ইস্যুতে অনেক কৌশলগত বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলেছে আল জাজিরা। এই আলাপচারিতায় তারা এটি বলতে নারাজ যে, ভারতের স্বার্থের যে ক্ষতি হয়েছে তার বেশিরভাগই হয়েছে দেশটির নিজেদের মাধ্যমেই।

অর্থাৎ, যখন থেকে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান-ভিত্তিক গণতন্ত্র থেকে হিন্দু বিশ্বাস দ্বারা পরিচালিত গণতন্ত্রে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করেছে, তখন থেকেই নয়াদিল্লি বন্ধু হারাতে শুরু করে।

২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন ঢাকা সফর করেন, তখন ভারতীয় এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় এবং সেসময় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়। মূলত বাংলাদেশিরা সেসময় ভারতে মুসলিম বিরোধী বৈষম্যের প্রতিবাদ করছিল এবং এমন একটি বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল যেখানে মুসলমানদের বাদ দিয়ে অন্য সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্বের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তা গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘এটি ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের টার্নিং পয়েন্ট। স্থানীয় লোকেরা সেসময় ভারতের সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।’

ভারত কী করবে?

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় কূটনৈতিক মহলের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হবে বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার অধীনে ডানপন্থি বিএনপি সরকার ফিরে আসা, যেটি আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করতে পারে। আশঙ্কা রয়েছে, এই ধরনের সরকার ‘হিন্দু সংখ্যালঘুদেরও প্রভাবিত করতে পারে’।

কিছু ভারতীয় নিউজ আউটলেট দাবি করছে, সাম্প্রতিক বিক্ষোভের পেছনে পাকিস্তান এবং চীনের সংশ্লিষ্টতা ছিল। প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের মাত্রাকে অতিরঞ্জিত করে সামনে আনা হয়েছে এবং একইসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমের মুসলিম-বিদ্বেষী কভারেজ এই বর্ণনাকে সামনে এনেছে যে, বাংলাদেশকে — ‘ধর্মনিরপেক্ষ নীতি সমর্থনকারী’ একটি মুসলিম দেশকে — ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পাকিস্তান।

আল জাজিরা স্বাধীনভাবে যাচাই করেছে, হাসিনাকে অপসারণের পর থেকে দুই হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে — যাদের একজন পুলিশ অফিসার এবং একজন আওয়ামী লীগ কর্মী — এবং দেশের বেশ কয়েকটি হিন্দু পরিবারে হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে। একজন হিন্দু নেতা আল জাজিরাকে বলেছেন, হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সাম্প্রদায়িক নয়।

এছাড়া বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভকারীরা হিন্দু মন্দির ও বাড়ি ভাঙচুরকে ঘিরে ধর্মীয় সহিংসতার আশঙ্কাকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য স্থানে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ের সামনে তরুণ ছাত্রদের পাহারা দেওয়ার বিভিন্ন ছবি ইনস্টাগ্রামসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে পূর্ণ হয়ে আছে।

কিন্তু হিন্দুদের লক্ষ্য করে যে কোনো সহিংসতা শুধুমাত্র ভারতের শাসক বিজেপির কট্টরপন্থিদেরই সাহায্য করবে। এসব সহিংসতাকে তারা প্রমাণ হিসেবে সামনে এনে দাবি করতে পারে যে— হিন্দু এবং মুসলমানরা একসঙ্গে থাকতে পারে না এবং এর মাধ্যমে তারা নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের ন্যায্যতা দাবি করতে পারে।

১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাৎসরিক বাণিজ্যসহ বাংলাদেশে ভারতের অনেক কিছু রয়েছে। উভয় দেশের একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করার কথাও ছিল।

হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ায় ভারত বাংলাদেশে তার প্রভাব হারিয়েছে এবং আপাতত সেখানে কোনো নির্বাচন না হওয়াই পছন্দ করবে নয়াদিল্লি। তবে বিএনপির নির্বাসিত বিরোধীদলীয় নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে এলে এমনটা নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে তার দল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শ্যাম শরণ লিখেছেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি এবং দেখছি যে কীভাবে পরিস্থিতির বিকাশ ঘটবে এবং ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশের জনগণের জন্য আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতির পুনরাবৃত্তি করতে হবে।’

ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সঙ্গে রয়েছে। সর্বদলীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে: ঢাকায় পরবর্তীতে কী করতে হবে সে বিষয়ে ভারত সরকারের কি কোনো ধারণা আছে?

টিএম