ছয়দিন আগে রাশিয়ার কুরস্ক শহরে প্রবেশ করে ইউক্রেনের সেনারা। সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলটিতে ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে যায় তারা। ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ায় ঢুকেছেন তাদের কয়েক হাজার সেনা। এই হামলার লক্ষ্য হলো রাশিয়াকে অস্থিতিশীল করা এবং তাদের দুর্বলতা প্রকাশ করা।

ছয়দিন আগে ইউক্রেন হামলা চালালেও আজ রোববার (১১ আগস্ট) রাশিয়া এটি স্বীকার করেছে। দেশটি জানিয়েছে, সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার ভেতরের অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাদের অস্ত্র ও অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

রাশিয়ায় হামলার ব্যাপারে ইউক্রেনীয় এই কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা আক্রমণাত্মক অবস্থানে রয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হলো শত্রুদের অবস্থান ছড়িয়ে দেওয়া, সর্বোচ্চ ক্ষতি সাধন করা এবং রাশিয়ার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে দেওয়া। তারা তাদের নিজস্ব সীমান্ত রক্ষা করতেই ব্যর্থ।”

ইউক্রেনের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের বাহিনীকে প্রতিহত করতে রাশিয়া ১ হাজার সেনাকে মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়া যে পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনো বুঝতে পারেনি বিষয়টি এর মাধ্যমেই প্রমাণ হয়েছে। কারণ রাশিয়ায় তাদের কয়েক হাজার সেনা অবস্থান করছে।

এতদিন হামলা নিয়ে চুপ থাকলেও রোববার সকালে এ নিয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি স্বীকার করেছেন রাশিয়াতে তারাই হামলা চালিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা যুদ্ধকে আগ্রাসনকারীদের অঞ্চলে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছি।”

রাশিয়ার কুরস্কের সঙ্গে ইউক্রেনের সামি অঞ্চলটি অবস্থিত। বার্তাসংস্থা এএফপির সাংবাদিক সেখানে ইউক্রেনের সেনাদের ভারী অস্ত্রসস্ত্র দেখতে পেয়েছেন। সামির এক বাসিন্দা বলেছেন, রাশিয়ায় তাদের সেনারা যে হামলা চালিয়েছে এতে তিনি খুশি। কারণ এতে করে রাশিয়ার মানুষ বুঝতে পারবে যুদ্ধ আসলে কেমন।

এএফপির সাংবাদিক জানিয়েছেন, রুশ সেনারা ইউক্রেনের পূর্ব দিকে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। ওই স্থানে থাকা ইউক্রেনীয় সেনারা যেন স্বস্তি পান সেজন্য হয়তবা রাশিয়ার কুরস্কে এই আকস্মিক হামলা চালানো হয়েছে।

সূত্র: এএফপি

এমটিআই