শেখ হাসিনার পতনে যেভাবে অবদান রেখেছে অর্থনৈতিক কারণ
বাংলাদেশ বর্তমানে দুটি বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে: উচ্চ মূদ্রাস্ফীতি, যেটি ৯ শতাংশ বেড়েছে এবং টাকার মূল্যমানের বড় অবনতি। করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা আরও খারাপ হয়। টেক্সটাইল খাতের উপর নির্ভরশীল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই সময়টায় ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে।
করোনা পরবর্তী সময়ে সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটলেও; ২০২৪ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখনো ৬ শতাংশের নিচে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
২০১১ থেকে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান এ পরিস্থিতি সেটির পুরোপুরি বিপরীত। ওই সময় দেশের জিডিপি ধারাবাহিকভাবে প্রায় ৬ শতাংশ করে বেড়েছে। মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। ২০১৬ সালে জিডিপি পার ক্যাপিটায় দ্বিগুণ হয়েছিল। যা ২০১৬ সালে ১ হাজার ০৩২ ডলার থেকে ২০১৯ সালে ২ হাজার ১৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছিল।
কিন্তু অর্থনীতির সাম্প্রতিক নাজুক পরিস্থিতি— যার মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমা, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব— বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষুব্দ করেছে। যার ফলশ্রুতিতে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের।
আরও পড়ুন
হাসিনার পতনের পর নতুন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে সেটি জানিয়েছে এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো অর্থনীতিকে সঠিক জায়গায় এবং ব্যাংকের উপর মানুষের আস্থা ফেরানো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বার্তাসংস্থা পিটিআইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আমরা সংস্কার আনব। বেশ কিছু কারণে দেশের অর্থনীতির চাকা ধীর হয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যত দ্রুত সম্ভব অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। যখন অর্থনীতি একবার স্থবির হয়ে যায়। তখন এটি পুনরায় চালু করার বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা চাই না এটি থেমে যাক।”
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। যার মধ্যে প্রধান হলো ব্যাংকিং খাত এবং মুদ্রাস্ফীতি।
সূত্র: মানিকন্ট্রোল
এমটিআই