ছাত্র ও জনতার রোষের মুখে গত সোমবার দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ছেড়ে তিনি আশ্রয় নেন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে।

গণবিপ্লবের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করা হয় এই পতনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তার মায়ের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তারা এটির সঙ্গে জড়িত।

তবে হাসিনার পতনের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, পাকিস্তানকে দায়ী করার বিষয়টি ভারতের “বিরক্তিকর চিন্তাভাবনার’ অংশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানকে দায়ী করার বিষয়ে প্রশ্ন করার পর মুমতাজ জোহরা বলেন, “পাকিস্তানকে নিয়ে ভারতের যে বিরক্তিকর চিন্তাভাবনা রয়েছে সেটিই এসবে উঠে আসছে। ভারতের নেতা ও মিডিয়া তাদের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র নীতির ব্যর্থতার দায় সবসময় পাকিস্তানের উপর চাপায়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। এটি দিনে দিনে শুধু বেড়ে চলছে। পাকিস্তানের সরকার ও সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশে দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।”

জুনের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি চাকরিতে থাকা কোটা নিয়ে বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার এই আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ও নিপীড়ন শুরু করে। গত ১৭ জুলাই রংপুরে আবু সাঈদসহ ছয়জন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হন। এরপর এটি সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। সাধাররণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।

সূত্র: দ্য ডন

এমটিআই