গণবিপ্লবের মুখে গত সোমবার ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ ছাত্র-জনতা যখন তার সরকারি বাসভবন দখল করতে আসছিল; তখন তড়িঘড়ি করে ভারতে যোগাযোগ করেন তিনি। দেশটির কর্মকর্তাদের জানান ‘স্বল্প সময়ের’ জন্য তিনি আসবেন।

তবে সোমবারের পর মঙ্গলবার-বুধবার পেরিয়ে বৃহস্পতিবার চলে আসলেও এখনো ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। আজ ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও কখন তিনি ভারত ছাড়বেন সে সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, “তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কাছে এই মুহূর্তে কোনো আপডেট নেই।”

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এখনো বাংলাদেশের উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। এছাড়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনো বিবর্ধিত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

দেশ থেকে পালিয়ে শেখ হাসিনা যখন ভারতে যান তখন প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন। কিন্তু সেখান থেকে এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

উল্টো যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানায়, তাদের দেশের আইনে কাউকে যুক্তরাজ্যে এসে রাজনৈতিক অথবা অস্থায়ী আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই। ধারণা করা হচ্ছে, হাসিনা এখন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের জিম্মায় রয়েছেন।

তবে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এনডিটিভিকে জানান, তার মা ভারতসহ কোনো দেশে এখনো রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র হাসিনার আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না এমন তথ্যকে ভুল হিসেবে দাবি করেন তিনি।

শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের নাগরিক। এমনকি তিনি দেশটির সংসদ সদস্যও। ধারণা করা হয়েছিল যেহেতু হাসিনার পরিবারের সদস্যরা ব্রিটিশ নাগরিক; সে কারণে তার রাজনৈতিক আশ্রয় সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু যেমনটি ভাবা হয়েছিল তেমনটি হয়নি।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই