শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে নীরব যুক্তরাজ্য
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সরকারের এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে দেশটিতে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ওই বিবৃতিতে। আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনা সোমবার দেশ ছেড়ে ভারতে গেছেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি-ও বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ দেখতে চায়। তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে কোনও তথ্য বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে ডেভিড ল্যামি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলীতে জাতিসংঘের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ এবং স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে চায়। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মানুষের মাঝে গভীর সম্পর্ক রয়েছে ও কমনওয়েলথের মূল্যবোধ ভাগাভাগি করে।
ব্রিটেনের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে নজিরবিহীন মাত্রার সহিংসতা ও মর্মান্তিক প্রাণহানি দেখা গেছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময় ঘোষণা করেছেন।
ল্যামি বলেন, ‘‘সব পক্ষকে এখন সহিংসতার অবসান, শান্তি ফেরানো, পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও প্রাণহানি ঠেকাতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’’
— David Lammy (@DavidLammy) August 5, 2024
গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সোমবার শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন। পরে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ভারতে যান তিনি। বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, শেখ হাসিনা লন্ডনে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এমনকি তার লন্ডন যাত্রার জন্য বিমানে জ্বালানিও ভরা হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে এই বিষয়ে কোনও তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
এসএস