এনডিটিভির প্রতিবেদন
ব্রিটেনে আশ্রয় চাইতে পারেন হাসিনা, মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশ্চিত নয়
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতের উদ্দেশ্যে বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে করে ভারতে গেছেন শেখ হাসিনা। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে অবতরণের পর সোমবার সন্ধ্যায় দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ৭৬ বছর বয়সী পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সহিংস বিক্ষোভে তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে শেখ হাসিনার পরবর্তী গন্তব্যের বিষয়ে বলেছে, শেখ হাসিনা আরও পরে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে; যেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন।
ভারতেরই আরেক বার্তা সংস্থা এএনআই বলেছে, শেখ হাসিনাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০ সামরিক বিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীর সি-১৭ ও ১-১৩০জে সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফ্ট হ্যাঙ্গারের কাছে পার্ক করে রাখা হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবহিত করেছেন। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির দেখা হবে কি না সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানায়নি দিল্লি।
এদিকে, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীও শেখ হাসিনার বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাথে কথা বলেছেন। কংগ্রেসের সূত্র বলেছে, সংসদ অধিবেশনের ফাঁকে জয়শঙ্কর ও রাহুল গান্ধীর মাঝে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান অস্থিতিশীলতার ঘটনায় বাংলাদেশের সাথে ভারতের চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিএসএফের ফিল্ড কমান্ডারদের স্থলভাগে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি যেকোনও ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি।
এছাড়া ভারতীয় রেলওয়ে বাংলাদেশে চলাচল করা সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে। দেশটির বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ঢাকায় তাদের দুটি ফ্লাইটের চলাচল স্থগিত করেছে।
এসএস