লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দখলদার ইসরায়েলের ‘গভীরে’ হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে ইরান। এছাড়া এতদিন শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করলেও এখন থেকে তারা সব জায়গায় হামলা চালাবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রতিদিনই সংঘর্ষ হচ্ছে।

কিন্তু গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার ‍ফুয়াদ সুখর নিহত হন। এরপরই সব হিসাব নিকাশ বদলে গেছে বলে জানিয়েছে ইরানের জাতিসংঘ মিশন।

এ ব্যাপারে জাতিসংঘ মিশনের এক কর্মকর্তা ইরানের বার্তাসংস্থা ইরনাকে বলেছেন, “আমরা ধারণা করছি, জবাব হিসেবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে আরও বেশি এবং গভীরে হামলা চালাবে। দ্বিতীয়ত হলো তারা তাদের হামলা শুধুমাত্র সামরিক অবকাঠামোয় সীমাবদ্ধ রাখবে না।”

মিশনের কর্মকর্তা আরও বলেছেন, “হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েল একটি সীমা মেনে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে হামলা সীমান্ত এলাকা এবং সামরিক অবকাঠমোয় সীমাবদ্ধ রাখা। কিন্তু বৈরুতে হামলা সেই সীমা লঙ্ঘন করেছে।”

হিজবুল্লাহ কমান্ডার সুখর নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এখন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে হিজবুল্লাহ ও হামাস একসঙ্গে ইসরায়েলের উপর হামলা চালাবে।

সূত্র: এএফপি

এমটিআই