মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর একটি আঞ্চলিক কমান্ড দখল নিয়েছে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)। শনিবার এমএনডিএএর এক বিবৃতিতে ওই আঞ্চলিক কমান্ড দখলে নেওয়ার দাবি করা হয়েছে; যা জান্তার জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে এমএনডিএএ বলেছে, মিয়ানমারের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) যোদ্ধারা উত্তর শান রাজ্যের লাশিওতে উত্তর-পূর্ব সামরিক কমান্ডের সদরদপ্তরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

এর আগে জুলাইয়ের শুরুর দিকে এমএনডিএএর যোদ্ধারা জান্তার বিরুদ্ধে নতুন করে হামলা শুরু করে ওই অঞ্চলে। তখন থেকেই চীনের সাথে প্রধান বাণিজ্যিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত লাশিও শহরটি অস্থিতিশীল রয়েছে।

তবে সামরিক কমান্ড বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মুখপাত্রের মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, উত্তর পূর্ব কমান্ডে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিরোধ লড়াইয়ে নিয়োজিত সৈন্যরা আজ সকালে পিছু হটতে শুরু করেছে। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ওই সূত্র। একই সঙ্গে আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের ভেতরে কোনও সৈন্য আছে কি না সেই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

লাশিওতে প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে। এএফপিও সেখানকার মানুষের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।

মিয়ানমারের উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ভারত মহাসাগরের সীমান্তবর্তী বিস্তৃত দক্ষিণ ব-দ্বীপ অঞ্চলপর্যন্ত দেশজুড়ে ১৪টি আঞ্চলিক সামরিক কমান্ড রয়েছে সেনাবাহিনীর। তাদের মধ্যে অন্তত ১০টি কমান্ড বর্তমানে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী বা নতুন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সাথে লড়াই করছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর সাথে লড়াইয়ের জন্য পিডিএফ গঠন করে দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জাতিগত গোষ্ঠীর সদস্যরা।

তবে তিন বছরেরও বেশি সময় আগে শুরু হওয়া সংঘাতে সামরিক বাহিনীর একটি আঞ্চলিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঘটনা প্রথমবারের মতো লাশিওতে ঘটেছে।

এসএস