ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি গেস্ট হাউজে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে গত বুধবার নিহত হন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুই ইরানিকে দিয়ে হানিয়া হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে দখলদার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।

হানিয়াকে গত মে মাসেই হত্যা করার পরিকল্পনা করে ইসরায়েল। ওই সময় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজায় অংশ নিতে তেহরানে যান তিনি।

কিন্তু ওই সময় গেস্ট হাউজটিতে বেশি মানুষ থাকায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। মোসাদের শঙ্কা ছিল এতে করে অপারেশন ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে।

ইসমাইল হানিয়া যে গেস্ট হাউজটিতে নিহত হয়েছেন সেটির তিনটি রুমে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বিশেষ শাখার দুই সদস্য বোমা স্থাপন করেন। তারা সবকিছু করেন মোসাদের নির্দেশনায়।

ওই গেস্ট হাউজটিতেই বোমা স্থাপন করা হয় কারণ ইরানে গেলে বেশিরভাগ সময় সেখানেই অবস্থান করতেন হানিয়া।

সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা গেছে, ওই দুই ইরানি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে গেস্ট হাউজটির একাধিক রুমে প্রবেশ করে সেখান থেকে আবার দ্রুত বের হয়ে যাচ্ছেন। বোমা স্থাপন শেষে ইরানের ওই দুই কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে চলে যান। কিন্তু অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।

এরপর গত বুধবার রাত ২টার দিকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে হানিয়ার রুমের বোমাটিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

হানিয়াকে হত্যার পর ইরানের বিপ্লবী গার্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

এমটিআই