ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ করল তুরস্ক
গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নিহতের সংবাদ এবং এ ঘটনায় যারা স্বান্তনা জানিয়েছেন, তাদের পোস্ট ‘সেন্সর’ করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ করেছে তুরস্কের সরকার।
শুক্রবার দেশটির তথ্য যোগাযোগমন্ত্রী ফাহরেত্তিন আলতুন এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে আলতুন বলেন, “ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাৎবরণ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ ইনস্টাগ্রামে নেই। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে যারা পোস্ট দিতে চাইছেণ, তারা অভিযোগ করেছেন যে ইনস্টাগ্রামে তারা পোস্ট করতে পারছে না। এটা নিশ্চিতভাবেই সেন্সরশিপের কারণে ঘটছে।”
“যে প্রতিষ্ঠান মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেয়, আমরা তার কঠোর নিন্দা জানাই। এ ধরনের সেন্সরশিপ কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তুরস্কে ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করা হলো।”
প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতো তুরস্কেও সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম। তুরস্কের পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশটির মোট জনসংখ্যা ৮ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা অবশ্য তুরস্কে নতুন নয়। এর আগে ২০১৪ সালে একবার দুই সপ্তাহের জন্য টুইটার (বর্তমানে এক্স) এবং দুই মাসের জন্য ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছিল দেশটির সরকার।
তারপর ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিন বছর সরকারের নির্দেশে উইকিপিডিয়া বন্ধ ছিল তুরস্কে।
প্রসঙ্গত, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তেহরানের যে বাসভবনে তিনি উঠেছিলেন, সেখানেই এক দেহরক্ষীসহ নিহত হন হানিয়া।
এখন পর্যন্ত হত্যার দায় কেউ স্বীকার করেনি, তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা সরাসরি সংশ্লিষ্ট, সে সম্পর্কে নিশ্চিত প্রায় সবাই।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, আরটি
এসএমডব্লিউ