প্রবল বর্ষণ-পাহাড়ি ঢল : ভারতের দুই রাজ্যে নিহত ২৪
হিমালয় পর্বতমালা ঘেঁষা উত্তরভারতের দুই রাজ্য উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলে গত দু’দিনে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের এবং হিমাচলে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক দৈনিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের ভীম বালি এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন এবং বাড়ি-ঘর ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন অন্তত ৪ হাজার মানুষ। এছাড়া প্রবল বর্ষণ-ঢলের কারণে ওই এলাকার অনেক সড়কও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান কেদারনাথ উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত। সেই কেদারনাথ যাওয়ার পথেই পড়ে ভীম বালি। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কেদারনাথগামী সব পরিবহন চলাচলে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের রাজ্য সরকার।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের প্রতিবেশী রাজ্য হিমাচলের রাজধানী সিমলা এবং মান্ডি ও কুল্লু জেলায় বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ৮ জন নিহতের পাশাপাশি নিখোঁজ হয়েছিলেন অনেকে। উদ্ধারকারী বাহিনী আজ সকালে ৪৯ জন নিখোঁজ ব্যক্তিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধঅর করেছে।
ব্যাপক বর্ষণের কারণে হিমাচলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর পানি দু’কূল ছাপিয়ে প্লাবিত হওয়ায় অনেক এলাকার সড়ক ডুবে গেছে, স্রোতের কারণে ভেসে গেছে অনেক নদীর সেতু।
হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থান হওয়ায় প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলে। ধর্মীয় তীর্থস্থান থাকায় উত্তরাখণ্ডে সাধারণ পর্যটকদের পাশাপাশি ভিড় লেগে থাকে তীর্থযাত্রীদেরও।
দুই রাজ্যের প্রশাসন জানিয়েছে, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করছেন। ভীম বালি থেকে ইতোমধ্যে ৬ হাজার ১৪৮ জন তীর্থযাত্রী উদ্ধারও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিরল নয়। ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ এক বন্যায় ৫ হাজার ৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে গত ৩০ জুলায় ভয়াবহ এক ভূমিধস ঘটেছে কেরালার ওয়ানাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায়। উপদ্রুত এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৩০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র : দ্য ন্যাশনাল
এসএমডব্লিউ