মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ প্রবাসীদের জন্য দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। যেসব অভিবাসীর রেসিডেন্সি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা নতুন ভিসার জন্য এই সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। কেউ যদি এই সময়সীমার মধ্যে আমিরাত ত্যাগ করতে চান, তারাও কোনো প্রকার জরিমানা প্রদান ছাড়াই দেশ ত্যাগ করতে পারবেন।

আমিরতাদের পরিচয়পত্র, নাগরিকত্ব ও কাস্টমসবিষয়ক কর্তৃপক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিবৃতি।

আমিরাতের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে উপকৃত হবেন দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী, যাদের দেশটিতে বসবাসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো আমিরাতেও অভিবাসী হিসেবে বিভিন্ন দেশের লোকজন বসবাস করেন। তাদের সংখ্যাগত দিক থেকে শীর্ষে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ভারতীয় এবং বাংলাদেশিরা।

করোনা মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর ২০২১ সালে ভিজিট ভিসা চালু করে আমিরাতের সরকার। সে সময় এই ভিসায় দেশটিতে গিয়েছেন শত শত বাংলাদেশি। এদের অনেকেরই দেশটিতে বসাবাসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এদের আগে যারা আমিরাতে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যেও অনেকের ভিসার মেয়াদ আর নেই।

সৌদি সরকারের সাধারণ ক্ষমা তাদের সমানে বড় সুযোগ খুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন অভিবাসী বিশেষজ্ঞরা।

২০২১ সালে করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা চালু হলে ভিজিট ও অন্যান্য ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান অনেক বাংলাদেশি। ভিজিট ভিসায় যাওয়া অনেক বাংলাদেশি পরবর্তীতে ভিসা চেঞ্জ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলেও, কেউ কেউ ভিজিট ভিসার মেয়াদ চলে যাওয়ায় অবৈধ হয়ে পড়েন। 

তবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনায় বৈধ হওয়ার সুযোগ দেখছেন তারা।

সূত্র : দ্য ন্যাশনাল

এসএমডব্লিউ