দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ইরান ও তাদের মিত্র বাহিনীর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে দখলদার ইসরায়েল। গত মঙ্গলবার লেবাননে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ সুখর ও বুধবার গভীর রাতে ইরানের তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে ইসরায়েল।

এরপরই ইরান হুমকি দেয় হামাস প্রধানকে হত্যার জবাব দেওয়া হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস গতকাল জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সরাসরি ইসরায়েলে আঘাত হানার নির্দেশ দিয়েছেন।

সতর্কাবস্থায় থাকার ব্যাপারে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “যে কোনো পরিস্থিতির জন্য— আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার দিক দিয়ে ইসরায়েল উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। আমাদের উপর যে কোনো দিক দিয়ে যে কোনো আগ্রাসনের উচ্চ মূল্য নেওয়া হবে।”

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যা ১০ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। এতদিন যুদ্ধ হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে থাকলেও এটি আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ইরান, লেবানন, ইরাক এবং ইয়েমেন থেকে একযোগে দখলদার ইসরায়েলের উপর হামলা চালানো হবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই করণীয় ঠিক করতে আজ বৃহস্পতিবার ইরানের রাজধানী তেহরানে ইরানি কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক মিত্র বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হবে।

বৈঠক থেকেই আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এক ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈঠকটিতে উপস্থিত থাকবেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই