ইরানের রাজধানীতে গুপ্তহত্যার শিকার হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার শেষকৃত্য শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইমামতি করেন দেশটির শীর্ষ নেতা আলী খামেনি।

রাজধানী তেহরানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইসমাইল হানিয়ার লাশ কাতারের রাজধানী দোহায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দাফন করা হবে তাকে।

এর আগে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে যাওয়ার পর বাসভবনে হামলায় নিহত হন হানিয়া।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে শুরু হয়েছে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ার শেষকৃত্য। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত হামাস নেতার জানাজার নামাজে ইমামতি করেন।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে হানিয়ার লাশ কাতারের রাজধানী দোহায় নিয়ে যাওয়া হবে। আর সেখানেই শুক্রবার দাফন করা হবে তাকে।

এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রেস টিভি জানিয়েছিল, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি বৃহস্পতিবার হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার জানাজায় ইমামতি করবেন।

এদিকে হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি। এমনকি হানিয়া হত্যার জবাবে তিনি সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। তিনজন অজ্ঞাতনামা ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এই তথ্য সামনে এনেছে।

ওই তিন কর্মকর্তার মধ্যে দুইজন রেভোলিউশনারি গার্ড সদস্য। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পর ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইরান ও হামাস এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে। টানা প্রায় ১০ মাস ধরে গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। ইহুদিবাদী এই দেশটি অবশ্য ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য তেহরানে যাওয়া হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। যদিও ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সামরিক কমান্ডারসহ বিদেশে ‘শত্রুদের’ হত্যা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ইসরায়েলের।

ইরানি এই কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘এটা এখনও স্পষ্ট নয়, ইরান ঠিক কতটা শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং দেশটি (গত এপ্রিলের মতো) আবারও তার আক্রমণকে আরও ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য ক্যালিব্রেট করবে কিনা। ইরানের সামরিক কমান্ডাররা তেল আবিব এবং হাইফার আশপাশে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সংমিশ্রণে আরেকটি আক্রমণ করার কথা বিবেচনা করছেন, তবে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা এড়াতে হবে।’

টিএম