খাটে বার ড্যান্সারের মরদেহ, প্রেমিক উধাও
ভারতের কলকাতার পিকনিক গার্ডেনে ফ্ল্যাটে তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু। ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তরুণীর গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দা করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে, এ ঘটনায় উধাও হয়েছেন ওই তরুণীর প্রেমিক।
তিনজলা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেনে তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পিকনিক গার্ডেনের একটি বহুতলের ৪ তলায় খাটের মধ্যে শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে ওই তরুণীর মরদেহ। গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
বিজ্ঞাপন
এই ঘটনার পর থেকে পলাতক তরুণীর প্রেমিক। তরুণীর প্রেমিকের ফোনের চ্যাট বক্স থেকে শুরু করে ফোনের টাওয়ার লোকেশন নিয়ে ইতোমধ্যে খোঁজে নেমেছে তদন্তকারী দল। তবে, কেন তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, ওই তরুণী বারে ডান্স করতেন। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেই জানা সম্ভব হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে তিনজলা থানা ও কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের হোমিসাইড শাখায়। যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বাড়ির মেঝে ভেসে যাচ্ছে রক্তে, আর তার মধ্যেই মায়ের মরদেহ আগলে বসে রয়েছেন মেয়ে। সম্প্রতি এমনই দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিল কলকাতার হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত তাঁতি পাড়া। মৃতার দাদার দাবি ছিল, মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন ভাগনি। ঘটনাস্থলে এসে তাকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
পাশাপাশি, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল তারা। মাঝে কেটে গেছে আট বছর। এখনও হাড় হিম করে দেয় রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের স্মৃতি।
সম্প্রতি সেই ঘটনারই ছায়া দেখা গিয়েছিল হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত আট নম্বর তিব্বতিবাবা লেনে। মায়ের মরদেহ আগলে বসে রয়েছেন মেয়ে। পুলিশের দাবি, বুধবার দরজা ভাঙতেই এই ভয়ংকর দৃশ্য দেখতে পান তারা।
প্রতিবেশীদের দাবি, হাওড়ার তাঁতি পাড়ার এই বাড়িতেই থাকতেন বছর ৭০ এর বৃদ্ধা মিনতি মুখোপাধ্যায় ও তার মেয়ে কাকলি। গত তিনদিন ধরে মা কিংবা মেয়ে কাউকে দেখা যায়নি। বুধবার সকালে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে বাড়ি থেকে। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চ্যাটার্জি হাট থানার পুলিশ। দরজা ভেঙে তারাই উদ্ধার করেন মরদেহ। এরপর মৃতার মেয়েকে পাঠানো হয় রিহ্যাব সেন্টারে।
কেএ