স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত হয়েছেন ফিলিস্তিনের গাজাবাসী।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন গাজার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের একজন আহমেদ আল নিমস। তিনি বলেছেন, “ইসমাইল হানিয়া গাজার সন্তান। সে আমাদের সব মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করত।”

সালাহ আল সুন্নার, ইসরায়েলের বর্বরতার কারণে উত্তর গাজার জাবালইয়া থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে সিএনএনকে বলেন, “আমরা বলিনা হানিয়া হামাস অথবা ফাতাহর। এর বদলে আমরা বলি সে হলো ফিলিস্তিনের নেতা। সে একজন ফিলিস্তিনি বাবা এবং ফিলিস্তিনি মায়ের সন্তান। তার মৃত্যু গাজার সবার, ফিলিস্তিনের সবার এবং অন্যান্য সব জায়গার মানুষের জন্য একটি দুঃখের খবর।”

সালাহ আল সুন্নার আরও বলেছেন, ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে আমি অনেকবার বসেছি। আমি তাকে খুব কাছ থেকে চিনি। সে সবসময় ফিলিস্তিনের মধ্যে ঐক্য চাইত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমজাদ আল সাওয়া হানিয়ার হত্যাকাণ্ডকে ‘ফিলিস্তিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতার হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “তাকে হত্যার মাধ্যমে দখলদাররা বার্তা দিয়েছে তারা কোনো শান্তি, কোনো যুদ্ধবিরতি অথবা আগ্রাসন বন্ধ চায় না।”

আজ বুধবার সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন ইসমাইল হানিয়া। সেখানে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

হানিয়ার মৃত্যুর পর ইরান হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলকে এ ঘৃন্য অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই