ইরানের রাজধানী তেহরান ও লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়ে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহর এক উচ্চপদস্থ নেতাকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। এই দুই নেতাকে হত্যার কারণে ইসরায়েলে বড় হামলা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

এমন আশঙ্কার মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের শক্তিশালী বাহিনী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড জানিয়েছে, হানিয়াকে হত্যার কঠিন প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, “তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জবাব হবে কঠোর ও বেদনাদায়ক। ইরান এবং প্রতিরোধ বাহিনী এই অপরাধের জবাব দেবে।“

এছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও ইসরায়েলকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এই কাজের জন্য, অপরাধী ও সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী সরকার যেন কঠোর শাস্তির জন্য প্রস্তুত থাকে। যেহেতু হানিয়াকে ইরানে হত্যা করা হয়েছে; তাই তার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।”

গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১০ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধ থামাতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চলছে। যা অনেকটাই এগিয়েছিল। তবে এরমধ্যে হঠাৎ করেই হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির যে একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সেটি অন্তত কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই