ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) ইরানের রাজধানী তেহরানে তার বাসভবনে ছোড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। এতে এক বডিগার্ডসহ হানিয়া নিহত হন।

হানিয়া মূলত থাকেন কাতারে। তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়েছিলেন। সেখানেই গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন তিনি।

কেন এখন হানিয়াকে টার্গেট করা হলো— এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক জেরেমি বাউয়েন।

তিনি বলেছেন, “আমি ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করি ১৯৯০ সালে। তখন তিনি হামাসের একজন উদীয়মান নেতা ছিলেন।”

“৭ অক্টোবরের পর তার পরিবারকে টার্গেট করা হয়েছে। তার ছেলে ও নাতি নাতনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।”

“হানিয়ার অন্যতম দিক হলো তিনি হামাসের অন্যান্য নেতাদের মতো আড়ালে থাকতেন না”

“আমি মনে করি ইসরায়েল হানিয়াকে হত্যা করেছে। যদিও তারা এখন পর্যন্ত মন্তব্য করেনি। কিন্তু কেন তারা হানিয়াকে এখন হত্যা করল? যখন পূর্বে তাদের সামনে অবশ্যই সুযোগ ছিল।”

“রাজনৈতিকভাবে হানিয়াকে কাতারে হত্যা করা সম্ভব ছিল না। ইরানে তাকে হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েলের একটি বার্তা পৌঁছেছে যে— কেউ নিরাপদ নয়।”

“হানিয়া যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি আলোচনার অংশ ছিলেন। যার অর্থ এখন এগুলো আর সহজ হবে না।”

ইসমাইল হানিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের হিট লিস্টে ছিলেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর যখন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালান তখন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জাতিমন নেতানিয়াহু গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে নির্দেশ দেন “বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে হামাসের নেতাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার জন্য।”

ইরানে হানিয়াকে হত্যা করে ইসরায়েল বার্তা দিয়েছে যে তারা চাইলে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রুর নাকের ডগায় যে কাউকে টার্গেট করতে পারবে।

হানিয়াকে হত্যার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল। অবশ্য অন্য দেশের মাটিতে কোনো হামলার ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো কিছু বলে না তারা।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই