দখলদার ইসরায়েলের একটি যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তাদের হামলার জেরে যুদ্ধবিমানটি পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এতে যোগ দেয় লেবাননের হিজবুল্লাহও। ১০ মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে হামলা ও পাল্টা হামলা চলছে।

তবে গত শুক্রবার ইসরায়েলের অধিকৃত গোলান মালভূমিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১২ শিশুর মৃত্যু হওয়ার পর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এই আশঙ্কার মধ্যেই দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের সঙ্গে যখন তাদের যুদ্ধ শুরু হয় তখন থেকে প্রায়ই লেবাননের ভেতর ইসরায়েলি বিমান গিয়ে বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আসছিল। তবে এখন শোনা যাচ্ছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে বিমানটি পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।

গোলান মালভূমিতে ১২ শিশুর মৃত্যুর পর বড় হামলা চালানো হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ নেতা আজ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হুমকিকে তারা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। যদি ইসরায়েলিরা লেবাননে বড় কোনো হামলা চালায় তাহলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিদেশিদের পক্ষ থেকে তাদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েল হামলা চালালেও তারা যেন কোনো প্রতিশোধ না নে। কিন্তু হামলা হলে তারা অবশ্যই পাল্টা হামলা চালাবেন। যদিও এটির পরিধি কম হতে পারে।

তিনি বলেছেন, “আগ্রাসনের জবাবের পরিধি ও বিস্তৃতি ঠিক করবেন প্রতিরোধ বাহিনীর নেতৃবৃন্দ। বিদেশি দূতরা বলছেন ইসরায়েল হামলা চালালে আমরা যেন প্রতিশোধ না নেই, যেন যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু আমরা জবাব দেব।”

এই নেতা আরও হুমকি দিয়েছেন, যদি ইসরায়েলি সেনারা লেবাননে স্থল হামলা চালায় তাহলে হিজবুল্লাহও দখলদার ইসরায়েলে স্থল হামলা চালাবে।

তিনি বলেছেন, “আমরা ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনো স্থল হামলার আশঙ্কা করছি না। কিন্তু তারা যদি স্থল হামলা চালায় তাহলে আমরা প্রস্তুত। যদি তারা লেবাননে প্রবেশ করে তাহলে আমরা গ্যালিলিতে (ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী অঞ্চল) প্রবেশ করব।”

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, রয়টার্স, আলজাজিরা

এমটিআই