আমির খানের ‘গজনি’ সিনেমাটার কথা মনে আছে? শর্ট টার্ম মেমরি লসের শিকার হওয়ায় নিজের গায়েই ‘টার্গেট’দের নাম ট্যাটু করে রেখেছিল আমির খানের চরিত্র সঞ্জয়। বাস্তবেও দেখা মিলল সেই রকমই এক ‘সঞ্জয় সিঙ্ঘানিয়ার’। তবে, এখানে গল্পটা একটু অন্যরকম। 

গত ২৩ জুলাই মুম্বাইয়ের ওরলির একটি স্পা সেন্টার থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। দেখা যায়, আততায়ীরা নতুন কাঁচির একটা ব্লেড দিয়ে নিহতের নলি কেটে দিয়েছে, অন্য ব্লেড বসিয়েছে পেটে। জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম গুরু ওয়াঘমেয়ার।

এই গুরু ওয়াঘমেয়ার একজন স্বঘোষিত তথ্যের অধিকার আন্দোলনকারী ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক অপরাধমূলক মামলা রুজু ছিল। এই গুরুর ময়নাতদন্তের সময় দেখা যায়, তার পায়ের উপরের দিকে তিনি ২২ জনের নাম ট্যাটু করিয়ে রেখেছেন।

এখন কারা এই ২২ জন? গুরু লিখে রেখেছেন, এই ২২ জনই কোনও না কোনও ভাবে তার ক্ষতি করতে পারে। এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। খুন হয়ে যাওয়া সেই গুরুর শরীরের ট্যাটুতে লেখা নাম দেখেই তদন্তকারীরা গ্রেপ্তার করতে শুরু করলেন তার খুনে জড়িত একের পর এক অপরাধীকে।

৪৮ বছরের গুরুর খুনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্পায়ের মালিক সন্তোষ শেরেকারকে। তার নাম গুরুর শরীরে লেখা ছিল। গ্রেপ্তার হয়েছে আরেক স্পায়ের মালিকমহম্মদ ফিরোজ আনসারি।

জানা গেছে, গুরুর চাঁদাবাজিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আনসারিকে নাকি গুরুকে খুনের জন্য ৬ লাখ টাকার সুপারি দিয়েছিলেন সন্তোষ। অন্যদিকে, এই আনসারির বেআইনি স্পা বন্ধ করানোর পেছনেও নাকি ছিল গুরুরই হাত। সব মিলিয়ে শত্রুর শত্রু মিত্র হয়ে খুন করা হয়েছে গুরুকে।

সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা গেছে, ২১ জুলাই জন্মদিন ছিল গুরু ওয়াঘমারের। সিয়ন হোটেল জন্মদিন পালনের পর প্রেমিকার সঙ্গে 'সফট টাচ স্পা'-এ গিয়েছিলেন তিনি। 'সফট টাচ স্পা'-এ প্রবেশের আগে পর্যন্ত তাঁকে ও তাঁর প্রেমিকাকে অনুসরণ করছিল দুই ব্যক্তি। ওই দুই ব্যক্তি স্পা-এর মধ্যে ঢুকে সুযোগ বুঝে ধারালো কাঁচি-ব্লেডের সাহায্যে খুন করে গুরু ওয়াঘমারেকে।

এসএম