গাজায় দুর্ভোগ নিয়ে চুপ থাকব না, নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর কমালা
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দেশটির আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিস বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধের কারণে সেখানকার মানুষকে যে ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি চুপ থাকবেন না।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস গাজার দুর্ভোগের বিষয়ে ‘চুপ’ না থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার দিকেও জোর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় হ্যারিস বলেন, ইসরায়েলের অস্তিত্ব এবং নিরাপত্তার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি ‘অটল’, তবে যুদ্ধে অনেক নিরীহ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
কমালা হ্যারিস বলেন, ‘গত নয় মাসে গাজায় যা ঘটেছে তা ভয়াবহ। মৃত শিশুদের ছবি এবং মরিয়া, ক্ষুধার্ত মানুষ নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে, কখনও কখনও দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থবারের জন্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আমরা এই ট্র্যাজেডিগুলোর দিকে তাকাতে পারি না। আমরা নিজেদেরকে কষ্টের কাছে অসাড় হতে দিতে পারি না। আর আমি চুপ থাকব না।’
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে বাইডেন মনোনীত ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হ্যারিস আরও বলেন, তিনি নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের অবসানের এখনই সময় এবং এটি এমনভাবে শেষ করার সময় এসেছে যেখানে ইসরায়েল নিরাপদ থাকবে, সমস্ত বন্দি মুক্তি পাবে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ শেষ হবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চর্চা করতে পারবে।’
আরও পড়ুন
হ্যারিস ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্তও করেছেন। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ‘নিষ্ঠুর সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসাবে নিন্দা করেছেন এবং গাজায় হামাসের বন্দিদশায় থাকা পাঁচজন মার্কিন নাগরিকের নাম উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখন এই আমেরিকান বন্দিদের পরিবারের সাথে একাধিকবার দেখা করেছি এবং আমি প্রতিবারই বলেছি- তারা একা নয় এবং আমি তাদের সাথে আছি এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আমি তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিদিন কাজ করছি।’
টিএম