ঘূর্ণিঝড় গায়েমির আঘাতে রাজধানী ম্যানিলাসহ সমগ্র উত্তর ফিলিপাইনে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধস এবং বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তারা।

এছাড়া ঝড়ের কারণে বাড়িঘর ভেঙে নিরাশ্রয় হয়েছেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ। ম্যানিলার প্রধান বিমানবন্দর ১১৪টি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে এবং বিভিন্ন বন্দরে আটকা পড়েছেন অন্তত ২৬০ জন যাত্রী। দেশটির সরকারি দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

মঙ্গলবার ফিলিপাইনের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় গায়েমি। আছড়ে পড়ার কিছু সময় পর বাতাসের গতি কমে এলও ভারী বর্ষণ অব্যাহগত থাকে। ফলে রাজধানী ম্যানিলাসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বুধবার থেকেই শুরু হয় বন্যা।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জেআর বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজধানী সহ বন্যা কবলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। এছাড়া বন্যায় আটকে পড়াদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজও চলছে।

বন্যায় বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি স্কুলঘর ও গির্জাতেও আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। লুজন দ্বীপের লেডিলিন বার্নাস তাদেরই একজন।

‘বন্যায় আমার বাড়ির দো’তলা পর্যন্ত ডুবে গেছে। সবকিছু নষ্ট হয়েছে, ভিজে গেছে...আমি কিছুই রক্ষা করতে পারিনি,’ রয়টার্সকে বলেন বার্নাস।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ