জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলাকালীন বুধবার দুই নারী গাজায় বন্দি থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন৷ একজনের হাতে এক বন্দির ছবি, আরেকজনের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল।

জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এর্দানের বিবৃতির পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে তখন ওই দুই নারী চিৎকার করে জিম্মিদের মুক্তি দাবি করেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ ভবনের ভেতরে বিক্ষোভের ঘটনা বিরল।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের জুলাই মাসের সভাপতি রাশিয়া। তাই লাভরভ বৈঠকটি পরিচালনা করছিলেন। বিক্ষোভকারীরা চিৎকার শুরু করলে লাভরভ তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না, আরেকটু স্পষ্ট করে বলুন। আপনারা কী চান সেটা আপনাদের মধ্যে একজন স্পষ্ট করে বলতে পারেন। মনে হচ্ছে, আপনারা তা করতে চান না, ঠিক আছে।’’

এরপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা কর্মীরা কালো পোশাক পরা ওই দুই নারীকে বৈঠকস্থল থেকে চলে যেতে বললে তারা চলে যান বলে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই বিষয়ে জানতে তাইলে জাতিসংঘের ইসরায়েলের মিশন তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে হামাসের শত শত যোদ্ধা। একই সঙ্গে আরও ২০০ জনের বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে ফিলিস্তিনি এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনের সদস্যরা। পরে ওই দিনই গাজায় পুরোমাত্রার যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৮ মাসের যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ। ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এসএস