এবার বেসরকারি চাকরিতে কোটা! নতুন বিল ঘিরে বিতর্ক
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘ দিনের। এবার বেসরকারি চাকরিতেও কোটার প্রবর্তন হচ্ছে! শুধু তাই নয়, বেসরকারি চাকরিতে ৫০ শতাংশ কোটা রাখতে হবে। স্থানীয়দের কাজের জন্য বেশি সুযোগ করে দিতেই সম্প্রতি এমন একটি বিলে ছাড়পত্র দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এরপর থেকেই নতুন বিল ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এমন ঘটনা ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বেসরকারি খাতে কোটা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সিদ্দারামাইয়ার সরকার। কর্ণাটকের মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত বিলে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।
সংরক্ষণ বিলে কি আছে?
জানা গেছে, কর্ণাটকের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টে ৫০ শতাংশ কর্মী রাজ্যের বাসিন্দা হবেন। আর অন্যান্য পরিসরে ৭০ শতাংশ চাকরি রাজ্যের মানুষের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তার এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট করার পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও পরে সিদ্দারামাইয়া সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন।
এতে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্যের সব বেসরকারি শিল্পে কম গ্রেডের গ্রুপ সি ও ডি, পদের জন্য একশো শতাংশ কন্নর নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কর্ণাটকের বাসিন্দারা যেন কাজ থেকে বঞ্চিত না হয়। নিজের রাজ্যেই যেন চাকরি করে মানুষজন থাকতে পারেন।
এ বিষয় নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধলে পরে জানা যায়, খসড়া বিলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি- তে একশো শতাংশ চাকরির সংরক্ষণের কথা নেই। বিলে বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশ কর্মী রাজ্যের বাসিন্দা হবেন। আর অন্যান্য পরিসরে ৭০ শতাংশ চাকরি রাজ্যের মানুষের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
এদিকে শিল্পপতিরা এর সমালোচনা করেছেন। কর্মক্ষেত্রে সংরক্ষণ এলে কর্মদক্ষতা ও ঘাটতির প্রসঙ্গ উঠেছে। এছাড়া শিল্পে গুণমানের প্রশ্ন উঠবে। বড় শিল্প সংস্থা তাদের ব্যবসা রাজ্য থেকে গুটিয়ে নিতে পারে। এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
এছাড়াও কর্ণাটকে কাজের সূত্রে অনেক মানুষ থাকেন। অন্য রাজ্যের মানুষজন কাজ করছেন দীর্ঘ সময় ধরে। ফলে তাদের কাজের পরিসর কমে যাবে? সেই আশঙ্কাও এখন থেকে তৈরি হয়েছে।
বায়োকনের চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার-শ এই বিলের সমালোচনা করেছেন। স্বর্ণ গ্রুপের এমডি চি ভিএসভি প্রসাদও এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নতুন শিল্পপতিরা ওই রাজ্যের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন।
কর্ণাটকের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ এস লাড় জানান, স্থানীয় কর্মী না পাওয়া গেলে তবেই ভিন রাজ্যের কর্মী নিয়োগ করা হবে৷ রাজ্যের সরকারের প্রধান লক্ষ্য, স্থানীয় মানুষদের বেশি করে কাজের সুযোগ করে দেওয়া৷
কর্ণাটক সরকারের আইটি ও বিটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী প্রিয়াঙ্কা খড়গে বলেন, বিলটি শ্রমবিভাগ এনেছে। শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এখনও কথা বলা হয়নি। বিল তৈরির আগে সে সব আলোচনা সম্পূর্ণ হবে৷ বিলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রের পরামর্শ নেওয়া হবে৷ এই বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এমএসএ