ব্রহ্মপুত্রের পানিতে ডুবেছে জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকা। বানের সেই পানিতে ভাসছে বন্যপ্রাণীরা। এতে গন্ডার, বুনো মহিষ, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণসহ অন্তত ২০০ বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। 

ভারতের আসামের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ‘জীবনচক্র’ এখন হুমকির মুখে। প্রতি বারই বন্যায় ওলটপালট হয়ে যায় এ জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণীদের জীবন। এবার বর্ষাতেও তাই হলো। 

সরকারি সূত্রের খবরে বলা হয়, প্রাণ হারানো বন্যপ্রাণীদের মধ্যে অন্তত ১০টি গন্ডার রয়েছে।

এদিকে কাজিরাঙার বড় অংশই এখন পানির নিচে। ডুবেছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশও। প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় উদ্যানের বন্যাপ্লাবিত অঞ্চল থেকে কার্বি পাহাড় পাড়ি দেয় বন্যপ্রাণীরা। 

তাদের অনেকে জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারায়। শুকনো ডাঙার খোঁজে গভীর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা বন্যপ্রাণীদের উপর ‘নজর’ থাকে শিকারিদেরও। ফলে বনকর্মীদের চালাতে হয় বাড়তি নজরদারির কাজ। বিভিন্ন বন্যপ্রাণপ্রেমী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরাও তাদের সহায়তা করতে হাজির হয়েছেন কাজিরাঙায়।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত দুদিনে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে বনকর্মীদের ৪৬টি ক্যাম্প এখনও পানির নিচে। ১৩০০ বর্গ কিলোমিটারের কাজিরাঙা বিশ্বে একশৃঙ্গ গন্ডারের সবচেয়ে বড় আবাসভূমি। 

সংখ্যায় তারা আড়াই হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে ১৩৫টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও রয়েছে এই অরণ্যে। বন্যায় তাদের অনেকেই ‘ঘরছাড়া’। তবে বন্যার পানি নামলেই শুরু হবে জীবনসংগ্রামের নতুন অধ্যায়। নতুন ঘাসে ঢাকা জঙ্গলে ফের ঘর বাধা শুরু হবে। 

এমএসএ