ফাইল ছবি

ইউক্রেনে রাশিয়ার জয়রথ চলছেই। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির আরও এলাকা দখলে নিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে একদিনে ইউক্রেনের ২৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে রাশিয়া।

সোমবার (১৫ জুলাই) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এএফপি।

রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের উরোজাইন গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে। আর এই তথ্য নিশ্চিত হলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কৌশলগত শহর আভদিভকা দখল করার পর রুশ বাহিনীর ধারাবাহিক সাফল্যের মধ্যে এটিই হবে সর্বশেষ সাফল্য।

ইউক্রেনীয় ব্লগাররা বলেছেন, কিয়েভের বাহিনী রাশিয়ার দখলে থাকা শহর দোনেৎস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে গ্রামের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়েছে। অবশ্য ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই এলাকায় এখনও লড়াই চলছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে বলেছে, ‘সফল কর্মকাণ্ডের ফলস্বরূপ, ‘পূর্বাঞ্চলীয়’ বাহিনী দোনেৎস্ক অঞ্চলের উরোজাইন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে...এবং তারা সেখানে অপসারণ ও নিষ্ক্রিয়কারী অভিযান চালাচ্ছে।’

রয়টার্স অবশ্য স্বাধীনভাবে ইউক্রেনীয় বা রাশিয়ান রিপোর্ট নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।

এই গ্রামটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু ইউক্রেন ২০২৩ সালের জুলাইয়ে মোকরি ইয়ালি নদীর কাছে বসতি পুনরায় দখলে নেয়।

এর আগে রোববার সকালে এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, উরোজাইন এবং আশপাশের অন্যান্য এলাকায় ১৮টি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। অবশ্য একইদিন শেষ বিকেলের প্রতিবেদনে ওই গ্রামের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

পরে ডিপস্টেট নামে জনপ্রিয় একটি ইউক্রেনীয় সামরিক ব্লগ রোববার উরোজাইনের পতনের খবর জানায়। তারা বলেছিল, রাশিয়ান বাহিনী ‘গ্রামের দক্ষিণে ব্যাপক আক্রমণ’ চালিয়েছে। এই ক্ষতিটিকে ‘প্রতিরক্ষা বিপর্যয়’ হিসাবে বর্ণনা করে এর পেছনের কারণ তদন্ত করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

এদিকে ইউক্রেনের ২৫টি ড্রোন ধ্বংস করেছে রাশিয়া। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, রাশিয়া দেশের পশ্চিমে এবং ক্রিমিয়ায় রাতারাতি ২২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

রুশ এই মন্ত্রণালয় এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছে, গত রাতে... ডিউটিতে থাকা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ২২টি ইউএভি ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে পনেরটি ড্রোন রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চল ব্রায়ানস্কে, ছয়টি ক্রিমিয়ার ওপর এবং একটি লিপেটস্কের ওপর ধ্বংস করা হয়।

পৃথকভাবে, কুরস্কের গভর্নর জানিয়েছেন, সেখানে আরও তিনটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

টিএম