গত কয়েকদিন ধরেই অস্থির যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন। এরমধ্যেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ২০ বছর বয়সী এক যুবক। এই ঘটনা ট্রাম্পের সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিকের দলের প্রচার-প্রচারণা স্তব্ধ করে দিয়েছে। সঙ্গে শঙ্কা তৈরি হয়েছে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে আরও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

ইতিমধ্যে ট্রাম্পের এই হত্যাচেষ্টার দায় বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিকদের উপর চাপিয়েছে ট্রাম্পের মিত্ররা। রিপাবলিকন সিনেটর জে, ডি ভেন্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ডেমোক্র্যাটিকরা সবসময় বলে থাকে ট্রাম্প একজন ফেসিস্ট, তাকে যে কোনোভাবে থামাতে হবে। তাদের এসব কথাবার্তার কারণেই হত্যারচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।

ট্রাম্পের উপর হামলার পরপরই পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, ‘এটি অসুস্থতা। যুক্তরাষ্ট্রে এমন সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’

২০ বছর বয়সী টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস কেন ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন সেটি এখনো জানা যায়নি। যদিও সে ট্রাম্পের দলেরই একজন নিবন্ধিত সমর্থক। তবে আবার ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীকে ১৫ ডলার অর্থ সহায়তাও দিয়েছিল সে।

এই হামলার ঘটনা ট্রাম্পের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে এটি বলাই যায়।

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্পেইনের কো-ম্যানেজার ক্রিস লাকিভিটাও এই হত্যাচেষ্টার জন্য বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটদের দোষারোপ করেছেন। তিনি হত্যাচেষ্টার দায় বাইডেনের উপর চাপিয়ে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি করেছেন।

ক্রিস লাকিভিটা মূলত কয়েকদিন আগে বাইডেনের করা মন্তব্যের বিষয়টি বুঝিয়েছেন। গত মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে হেরে বাইডেন তার সমর্থকদের বলেছিলেন, “বিতর্কের বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এখন ট্রাম্পকে বুলসিতে রাখার সময়।”

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে রাজনৈতিক হামলা

১৯৭০ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক হামলার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ১৪টি বড় রাজনৈতিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানেরই অনেক নেতা অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্পের কারণেই এসব সহিংসতা ঘটেছে।

অপরদিকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা বলছেন, হত্যাচেষ্টার যে ঘটনা গতকাল শনিবার ঘটেছে সেটি রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পের জন্য লাভজনক হতে পারে। কারণ তিনি সাধারণ মানুষকে যেসব ‘ভুল’ ধারণা দেন; এখন সেগুলো তারা আরও বেশি গ্রহণ করা শুরু করতে পারেন।

এদিকে ট্রাম্পের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক এবং বিল আকম্যান। ইলন মাস্ক এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই