ভারতে এক ‘ভয়ঙ্কর’ সরকারি কর্মকর্তার সন্ধান
হঠাৎ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে পরিণত হয়েছেন পূজা খেদকর নামের এক নারী সরকারি কর্মকর্তা। যার বিভিন্ন কুকীর্তির কথা এখন ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে।
দুই থেকে তিনদিন আগে পূজা খেদকর নামের এই নারীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। তারা জানায়, পূজা খেদকর ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবার (আইএএস) কর্মকর্তা হিসেবে পুনেতে শিক্ষানবিস অ্যাসিসটেন্ট কালেক্টর হিসেবে যোগদান করেন।
বিজ্ঞাপন
এখন জানা যাচ্ছে, মানসিক ও দৃষ্টির সমস্যা থাকার কথা বলে তিনি চাকরি নেন। কিন্তু এগুলো এখন সবই ভুয়া হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে।
শুধু চাকরি নিয়েই ক্ষান্ত হননি এই সরকারি কর্মকর্তা। কর্মক্ষেত্রে গিয়ে দেখাতে শুরু করেন প্রভাব। শিক্ষানবিশ অ্যাসিসটেন্ট কালেক্টর হলেও সব সরকারি সুবিধা ভোগের চেষ্টা চালান তিনি। এমনকি তার উপরের যে কর্মকর্তা রয়েছেন তার জায়গা দখলের মতো কাজও করেছেন। এছাড়া সরকারি অফিস থেকে সরিয়ছেন ফার্নিচার ও অন্যান্যা জিনিসপত্র।
এনডিটিভি আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পূজা নামের এই কর্মকর্তা নাভী মুম্বাইয়ের একটি থানায় চুরির অভিযোগে আটক এক আত্মীয়কে ছাড়িয়ে নিতে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাপ দিয়েছিলেন।
ভারতীয় সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী, ছয় মাস আগে শিক্ষানবিশ কোনো কর্মকর্তা সব সরকারি সুবিধা— গাড়ি, বাসস্থান পাবেন না। কিন্তু এগুলো সব পাওয়ার চেষ্টা করেন পূজা। কিন্তু সেগুলো তিনি পাননি।
আরও পড়ুন
শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কথা বলে চাকরি নিলেও তিনি চালাতেন দামী ‘অডি সেডান’ গাড়ি। যেটিতে আবার সাইরেন লাগিয়েছিলেন তিনি।। যা শুধুমাত্র বিশেষ ব্যক্তিরা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া গাড়িতে ‘মহারাষ্ট্র সরকার’ লেখা সংবলিত স্টিকার সেঁটেছিলেন তিনি।
পুনের যে কালেক্টর আছেন তিনি সর্বপ্রথম এই কর্মকর্তার নামে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। এরপর তাকে ওয়াসিমে বদলি করা হয়। এরপর থেকেই মূলত অভিযোগগুলো সামনে আসতে থাকে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, পূজার বাবাও সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে এখন পূজার বাবার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার মায়ের একটি পুরোনো ভিডিও সামনে এসেছে। এতে দেখা যাচ্ছে কৃষকের জমি জোরপূর্বক দখল করতে তিনি অস্ত্র প্রদর্শন করছেন।
এদিকে এসব কুকীর্তি সামনে আসার পর এই কর্মকর্তাকে এখন বরখাস্ত করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমটিআই