কোটা বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় অ্যামনেস্টির উদ্বেগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের দমন-পীড়নে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া শাখা বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে উদ্বেগ জানিয়েছে।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়া বলেছে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই প্রতিবাদ করার অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা ও অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্ত শক্তির ব্যবহার বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ও নিজস্ব সংবিধান অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকারের প্রতি বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভবনের সামনের সড়কে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
BANGLADESH : Amnesty International is concerned by the media reports of at least 20 people including students being...
Posted by Amnesty International South Asia on Thursday, July 11, 2024
এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে সাংবাদিকসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর। ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চলাকালে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের খবর গেছে। কুমিল্লা ও ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে, কোটা পদ্ধতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত রায় দেওয়ায় কেউ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের সীমা অতিক্রম করছেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ বন্ধ করে আদালতে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
এসএস